নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে লড়তে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন আটজন।
প্রার্থীদের মধ্যে গতবার পরাজিত বিএনপির প্রার্থী ও দলের মহানগর কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সাখাওয়া হোসেন খানসহ রয়েছেন মহানগর সম্পাদক এ টি এম কামাল।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দেয়ায় দুই নেতাই স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।
এ ছাড়া বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব রাশেদ ফেরদৌস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের জসীম উদ্দিন, খেলাফত মজলিশের এ বি এম সিরাজুল মামুন ও স্বতন্ত্র হিসেবে কামরুল ইসলাম মেয়র পদে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। জাতীয় পার্টি থেকে এখনও কেউ মনোনয়নপত্র নেননি।
জেলা নিবার্চন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার প্রতিভা বিশ্বাস নিউজবাংলাকে জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মেয়র পদে আওয়ামী লীগের একজন ও চার দলের চার প্রার্থী ও স্বতন্ত্র হিসেবে তিনজন মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৩ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৭টি ওয়ার্ডে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন ১৫০ জন।
তিনি আরও জানান, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় ১৫ ডিসেম্বর। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে বৈধ প্রার্থীদের প্রতীক দেয়া হবে।
এদিকে নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বর্তমান মেয়র আইভী। তিনি বলেন, ‘নৌকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। দাঙ্গা হামলার কথা বলা হচ্ছে। নৌকার বিরুদ্ধে প্রার্থীও খোঁজা হচ্ছে… কিন্তু ইনশাআল্লাহ জয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।’
গতবারের ভোটে পরাজিত প্রার্থী নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সাখাওয়া হোসেন খান বলেন, ‘দল এখনও নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্তে আসেনি, তবে দলীয়ভাবে সুযোগ না থাকলেও আমি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকব এবং বিপুল ভোটে নির্বাচিত হব। কারণ নারায়ণগঞ্জের মানুষ আমাকে এবার ভোট দেবে।’
বিএনপির আরেক নেতা মহানগর সম্পাদক এ টি এম কামাল বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে বিএনপির অনেক ভোটার। তারা যদি ভোট দিতে পারেন, তাহলে জয় নিশ্চিত। হারবে নৌকার প্রার্থী আইভী।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচনে সরকারদলীয় প্রার্থী যাতে করে তার দলীয় লোকজন দিয়ে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে সে জন্য কমিশনের কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ। যাতে সব প্রার্থী সমান সুযোগ পান।’
এদিকে জাতীয় পার্টি থেকে এখনও কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি। কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন দলটির নেতারা।
তফসিল অনুযায়ী, ১৬ জানুয়ারি ইভিএমে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে ভোট হবে। এবার ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৭। তার মধ্যে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৯ জন পুরুষ ও ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১৭ জন নারী। এ ছাড়া ট্রান্সজেন্ডার ভোটার আছেন চারজন।