বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিদেশে খালেদার চিকিৎসা: সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

  •    
  • ৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৬:৩৫

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো নিয়ে সরকারের মনোভাব জানতে চান এক সাংবাদিক। উত্তরে তিনি বলেন, ‘তাকে বিদেশ পাঠানো যাবে কি না, সেটা মেডিক্যাল বোর্ড জানে। চিকিৎসকরা জানেন কী করতে হবে। আদালতে তেমন কোনো প্রস্তাব এলে আমাদের যদি কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়, তাহলে সেটা আমরা করতে পারব। আদালতের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ আমাদের নেই।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি নিয়ে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার সকালে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসেফ ইসা আলদুহাইলানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি সরকারের মনোভাবের কথা জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো নিয়ে সরকারের মনোভাব জানতে চান এক সাংবাদিক।

উত্তরে তিনি বলেন, ‘তাকে বিদেশ পাঠানো যাবে কি না, সেটা মেডিক্যাল বোর্ড জানে। চিকিৎসকরা জানেন কী করতে হবে। আদালতে তেমন কোনো প্রস্তাব এলে আমাদের যদি কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়, তাহলে সেটা আমরা করতে পারব। আদালতের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ আমাদের নেই।’

খালেদা প্রতিহিংসার শিকার— বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যও উড়িয়ে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘প্রতিহিংসা কীভাবে এলো বোধগম্য নয়। প্রধানমন্ত্রী মাদার অফ হিউম্যানিটি, এটা শুধু এ দেশের লোকই বলে না; সারা পৃথিবী তাকে আজ মূল্যায়ন করে। প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন যখন জেলখানায় ছিলেন সুচিকিৎসার জন্য আমাদের বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে তাকে চিকিৎসা দিয়েছেন।

‘তার পরও তিনি (প্রধানমন্ত্রী) মনে করেছেন, আরও ভালো চিকিৎসা যদি হয় বাসা থেকেই তিনি করুক। সেখানে তার সাজা স্থগিত রেখে তিনি বাসায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এখানে প্রতিহিংসার কোনো প্রশ্নই আসে না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আইনমন্ত্রী সংসদ অধিবেশনে আইনের খুব সুন্দর একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ৪০১ ধারায় যে ব্যবস্থা করা হয়েছে সেটা যদি আবার করতে হয়, তাহলে এটা স্থগিত করে তাকে জেলখানায় যেতে হবে এবং সেখান থেকে আবার অ্যাপ্লাই করতে হবে।

‘এ রকম একটি প্রক্রিয়ার কথা আইনমন্ত্রী বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে যে আবেদন এসেছে, সেটি আমরা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। পরবর্তী সময় এটা নিয়ে যা করার সেটা আইনমন্ত্রীই করবেন। এর বাইরে কিছু করার ইঙ্গিত আমাদের কাছে আসেনি।’

খালেদার মুক্তির দাবিতে বিএনপির আন্দোলনে বিশৃঙ্খলা হলে ঠেকানোর ইঙ্গিতও দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল। তারা আন্দোলন করতে পারে, প্রতিবাদ করতে পারে, দোয়া মাহফিল করতে পারে। এগুলো রাজনৈতিক কর্মসূচি।

‘পাশাপাশি সহিংস কোনো ঘটনা ঘটালে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের যে দায়িত্ব সেটি পালন করবে। কারও জানমাল ধ্বংস করা বা অগ্নিসংযোগ করলে যা করণীয় করা হবে।’

খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট নবায়নের তথ্য না থাকার কথাও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘খালেদার পাসপোর্টের কোনো বিষয় আমার কাছে আসেনি। তিনি যদি করেন অন্য কোথাও আবেদন করতে পারেন। তার কাছে পাসপোর্ট আছে কি না, সেটা আমি জানি না।

‘আমি যতটুকু জানি আমাদের কাছে এক্সটেনশনের কোনো আবেদন করেননি। অন্য কারও কাছে করতে পারেন। আমাদের মন্ত্রণালয়ে কোনো আবেদন আসেনি।’

এ বিভাগের আরো খবর