নড়াইলের কালিয়ায় গৃহবধূ হত্যা মামলায় স্বামীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। খাশিয়াল ইউনিয়নের টোনা গ্রাম থেকে বুধবার সন্ধ্যায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তারা হলেন নিহতের স্বামী নজরুল ইসলাম, দেবর নাইমুল ইসলাম ও নূর আলম।
এজাহারভুক্ত অন্য দুই আসামি নূরজাহান ও তাহমিনা পলাতক। নূরজাহান নিহত রেহানার ননদ, তাহমিনা সম্পর্কে জা।
এসব নিশ্চিত করেছেন নড়াগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকসানা খাতুন। জানিয়েছেন, তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১ জুলাই রেহানা আত্মহত্যা করেছেন বলে নড়াগাতী থানা পুলিশকে জানান স্বামী নজরুল। বিষয়টি সন্দেহ হয় রেহানার পরিবারের। কারণ দীর্ঘদিন যৌতুকের দাবিতে রেহানাকে নির্যাতন করে আসছিলেন নজরুল ও তার পরিবারের সদস্যরা।
সেই ঘটনার প্রায় পাঁচ মাস পর ৭ ডিসেম্বর রেহানার ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসে পুলিশের কাছে। এতে উল্লেখ করা হয়, নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছিল রেহানাকে।
পরদিন ৫ জনকে আসামি করে নড়াগাতী থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত রেহানার ভাই আল আমিন।
আল আমিন জানান, ২০১৮ সালের ১ আগস্ট টোনা গ্রামের নজরুল ইসলামের সঙ্গে তার বোনের বিয়ে হয়। এর পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে রেহানাকে প্রায়ই মারধর করতেন নজরুল ও তার পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার দিন গত ১ জুলাই সকালে রেহানা তাকে ফোনে নির্যাতন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন। পরে নজরুল তাকে জানায় আত্মহত্যা করেছেন রেহানা।