এইচএসসি পরীক্ষার পঞ্চম দিনে দেশের ৯টি শিক্ষা বোর্ডে সাড়ে তিন হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে একজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সকালের পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল ৩ হাজার ৭১২ জন। বিকেলের পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল ৬ জন। দুই শিফটে মোট ৩ হাজার ৭১৮ জন অনুপস্থিত ছিল।
বুধবার সকালে হয় রসায়ন (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র পরীক্ষা। এতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে অনুপস্থিত থাকে ৯৮০ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে ২২২, রাজশাহী বোর্ডে ৭৪২, বরিশাল বোর্ডে ২৩৪, সিলেট বোর্ডে ১৪৯, দিনাজপুর বোর্ডে ৫৩৪, কুমিল্লা বোর্ডে ৩৩৬, ময়মনসিংহ বোর্ডে ২০৬ এবং যশোর বোর্ডে ৩০৯ জন।
বিকেলে হয় শিশু বিকাশ প্রথম পত্র এবং উচ্চাঙ্গসংগীত (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র পরীক্ষা। এতে রাজশাহী বোর্ডে অনুপস্থিত ছিল তিনজন, বরিশাল বোর্ডে একজন, দিনাজপুর বোর্ডে দুজন।
সাধারণত প্রতিবছরের এপ্রিলে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হলেও এ বছর করোনা মহামারির কারণে এই পাবলিক পরীক্ষা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নেয়ার ঘোষণা দেয় সরকার।
এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিতে নিবন্ধন করেছে ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯০ শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ২৯ হাজার ৭৩৮ জন এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৯৫২ জন।
সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করেছে ১১ লাখ ৩৮ হাজার ১৭ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ৫ লাখ ৬৩ হাজার ১১৩ জন এবং ছাত্রী ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৯০৪ জন।
মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমের জন্য নিবন্ধন করেছে ১ লাখ ১৩ হাজার ১৪৪ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ৬১ হাজার ৭৩৮ জন এবং ছাত্রী ৫১ হাজার ৪০৬ জন।
এইচএসসি (বিএম/ভোকেশনাল) পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করেছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫২৯ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৪ হাজার ৮২৭ জন এবং ছাত্রী ৪৩ হাজার ৬৪২ জন।
শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ১৫ লাখ ৫৮ হাজার শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করলেও দেড় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী এবার পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে না। মোট ১ লাখ ৬৩ হাজার ৩৭১ জন পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করেনি। সে হিসাবে ১১ দশমিক ৭১ শতাংশ শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক স্তর থেকে ঝরে পড়েছে।
দেশে ৯ হাজার ১৮৩টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ২ হাজার ৬২১টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। ফরম পূরণের পরও প্রতিটি পরীক্ষাতেই অনুপস্থিতির সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার থেকে আট হাজার পর্যন্ত। বিপুলসংখ্যক পরীক্ষার্থীর এ ধারাবাহিক অনুপস্থিতির কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিতে পারেননি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-সংশ্লিষ্টরা।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। দেড় বছর পর ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।