উচ্চ মাধ্যমিকের (এইচএসসি) রসায়ন প্রথম পত্রের পরীক্ষা হয়ে গেছে বুধবার। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ২০০ কেন্দ্রের মধ্যে ১৯৯টিতে এই বিষয়ের পরীক্ষা নেয়া হয়েছে সেট-২-এর ‘তারা’ প্রশ্নপত্রে।
তবে নগরীর মাদার বখস গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ কেন্দ্রে সেট-৪-এর ‘তিমি’ প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ পর কলেজ কর্তৃপক্ষ সেট ভুল হওয়ার বিষয়টি জানতে পারে। তখন শিক্ষা বোর্ডকেও বিষয়টি জানানো হয়। তবে ততক্ষণে দেরি হয়ে যাওয়ায় ভিন্ন সেটের প্রশ্নপত্রেই পরীক্ষা দেয় ২৩৮ শিক্ষার্থী।
কেন্দ্র সচিব সালমা শাহাদাত বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে দুটি করেই সেট পাঠানো হয়। কোন সেটে পরীক্ষা নেয়া হবে, তা পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএমএস দিয়ে জানানো হয়। এই পরীক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএমএস ঠিকই এসেছে। তবে ট্যাগ অফিসার হিসেবে থাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা সেট-৪-এর প্রশ্নপত্র বের করে দিয়ে দিয়েছেন।
সালমা শাহাদাত দাবি করেন, তিনি ট্যাগ অফিসারকে সেট-২ জানিয়েছিলেন।
সালমা জানান, পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ পরই তারা ভুল সেটের বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর শিক্ষা বোর্ডে ফোন করে পরামর্শ চাওয়া হয়। বোর্ড ওই প্রশ্নেই পরীক্ষা নেয়ার নির্দেশনা দেয়।
এখন সেট-৪-এর প্রশ্নে ওই পরীক্ষার্থীদের খাতা মূল্যায়নের জন্য তিনি শিক্ষা বোর্ডে লিখিতভাবে আবেদন করেছেন।
অভিভাবক নাসির ওয়াহিদ জানান, তার বোন ওই কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়েছে ভুল সেটের প্রশ্নে। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সব শিক্ষার্থীর পরীক্ষার মূল্যায়ন হবে সেট-২-এ। শুধু ২৩৮ জনের মূল্যায়ন হবে সেট-৪-এ।
তিনি বলেন, ‘সেট-২-এ এবার অঙ্ক ছিল বেশি। আর সেট-৪-এ অঙ্ক ছিল কম। যারা গণিতে ভালো তাদের ফল ভালো হবে। গণিত মিলিয়ে দিতে পারলেই নাম্বার পাওয়া যায়। আর লিখিত পরীক্ষা অনেক ভালো লিখলেও নম্বর কম পাওয়া যায়। এ কারণে সেট-৪-এর পরীক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
এ বিষয়ে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘একটা ভুল হয়ে গেছে। এটির আর কোনো সমাধান নেই। দুই সেটের পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন দুই রকম হবে।’