সড়কে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে এবার সাইকেল মিছিল করল শিক্ষার্থীরা।
বুধবার বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে এই মিছিল শুরু হয় রাজধানীর রামপুরা ব্রিজ এলাকা থেকে। শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টায় আরামবাগে নটর ডেম কলেজের সামনে গিয়ে।
কর্মসূচি শেষে বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় রামপুরা ব্রিজের সামনে ১১ দফা দাবিতে লিফলেট বিতরণ করার কথা জানানো হয়।
রামপুরা টেলিভিশন সেন্টারের সামনে থেকে সাইকেল নিয়ে যাত্রা শুরু করতে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে শিক্ষার্থীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের তর্কাতর্কি হয়। পরে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের শর্তে রাস্তা ছেড়ে দেয় পুলিশ।
গত ২৪ নভেম্বর গুলিস্তান এলাকায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির চাপায় নিহত হন নটর ডেম কলেজের ছাত্র নাঈম হাসান। এ ঘটনায় ওই কলেজের পাশাপাশি অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নানা কর্মসূচি পালন করতে থাকে।
এর মধ্যে গত ২৯ নভেম্বর রাতে রামপুরায় বাসচাপায় নিহত হয় একরামুন্নেসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসির পরীক্ষার্থী মাঈন উদ্দিন দুর্জয়।
নাঈমের মৃত্যুর পর থেকে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নামে, যেটি ২০১৮ সালে রাজধানীসহ সারা দেশে করা তুমুল আন্দোলনের স্মৃতি ফিরিয়ে আনে।
এই আন্দোলনের মধ্যেই রামপুরায় সড়ক পার হওয়ার সময় বাসচাপায় দুর্জয়ের মৃত্যু ক্ষুব্ধ করে তোলে ছাত্রদের। দুর্ঘটনা ঘটানো চালকদের শান্তি ও সড়ক ব্যবস্থাপনা উন্নত করার দাবিতে টানা কর্মসূচি পালন করে আসছে তারা।
সাইকেল মিছিল শেষে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া খিলগাঁও সরকারি মডেল কলেজের ছাত্রী সোহাগী সামিয়া অভিযোগ করেন, তাদের কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের আসতে বাধা দিচ্ছেন শিক্ষকরা।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যাতে আন্দোলনে যোগ দিতে না পারে, সে জন্য শিক্ষকরা হুমকিধমকি দিচ্ছেন। শিক্ষকরা এমন আচরণ করছেন এতে আমরা হতাশ হচ্ছি।’
তবে কোন স্কুলের কোন শিক্ষক বাধা দিচ্ছেন, সেটি জানাতে রাজি হননি সামিয়া।
শিক্ষকদেরও আন্দোলনে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সড়কে শুধু শিক্ষার্থীরাই চলাচল করে না, আপনারাও করেন।’
নিরাপদ সড়কসংশ্লিষ্ট ১১ দফা দাবিতে কয়েক দিন ধরে রামপুরা এলাকায় অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সড়কে অবস্থাপনার প্রতিবাদে লাল কার্ড, ব্যঙ্গচিত্র ও মুখে কালো কাপড় বাঁধার মতো কর্মসূচিও পালন করে তারা।