শিমুলিয়া-জাজিরা রুট ফেরি চলাচলের চূড়ান্ত পরীক্ষা করেছে বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসি। রুটটি এখন ফেরি চলাচলের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। শিগগিরই এই রুটে ফেরি চলাচল শুরু হবে।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় শিমুলিয়া প্রান্ত থেকে ছেড়ে কুঞ্জলতা ফেরি জাজিরার ছাত্তার মাদবর-মঙ্গলমাঝি ঘাটে পৌঁছায় বেলা দেড়টায়। বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান ফেরি থেকে নেমে শরীয়তপুর প্রান্তের সড়ক ঘুরে দেখেন।
নৌ ও সড়কপথ পরিদর্শন শেষে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান আহম্মদ শামীম আল রাজি বলেন, ‘শিমুলিয়া-জাজিরা নৌপথ হবে ফেরি চলাচলের স্থায়ী রুট। এই মুহূর্তে ফেরি চলাচলের জন্য রুটটি পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে। শিগগিরই এই রুটে ফেরি চলাচল ফের আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক।
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচলে বারবার পদ্মা সেতুর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর পর থেকেই এই নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। নাব্য সংকটের কারণে ফেরি চলাচল বারবার পিছিয়ে যায়। এরপর খনন সম্পন্ন হলে কয়েকবার পরীক্ষামূলক ফেরি চালানো শেষে বুধবার চূড়ান্ত পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া রুটে ফেরি চলতে গিয়ে ২০ জুলাই পদ্মা সেতুর ১৬ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে রো রো ফেরি শাহ মখদুমের তলা ছিদ্র হয়ে যায়। এরপর ওই নৌপথের আরও তিনটি ফেরি সেতুর পিলারে ধাক্কা দেয়।
পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে ফেরিগুলো পদ্মা সেতুর সঙ্গে কয়েক দফা ধাক্কা লাগে। এমন পরিস্থিতিতে ১৮ আগস্ট থেকে ওই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। তখন থেকে শরীয়তপুরসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ চরম বিপাকে পড়েন। লঞ্চ ও স্পিডবোট দিয়ে মানুষ পদ্মা নদী পারাপার হচ্ছেন।
জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে শরীয়তপুরের জাজিরার সাত্তার মাদবর-মঙ্গলমাঝির ঘাট এলাকায় ২৫ আগস্ট নতুন করে একটি ফেরিঘাট নির্মাণ করে কর্তৃপক্ষ।
ছোট যান চলাচলের জন্য বর্তমানে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে সকাল ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল করছে।শিমুলিয়া-জাজিরা রুটে শনিবার পরীক্ষামূলক ফেরি চালানো হয়। তখন রুটের চারটি স্থানে নাব্য সংকটে ফেরি আটকে যায়। মঙ্গলবার সকাল ও রাতে আরও দুই দফা পরীক্ষামূলক ফেরি চালানো হয়। তখন নির্বিঘ্নে ফেরি চালাচল করে।এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার দুপুরে কুঞ্জলতা ফেরিতে ওই রুট পরিদর্শন করেন বিআইডব্লিটিসির চেয়ারম্যান আহম্মদ শামীম আল রাজি ও বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম মোহাম্মদ সাদেক। তারা মাঝিরঘাটে নেমে যে সড়কে গাড়ি চলাচল করবে তাও পরিদর্শন করেন।