বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বুধবার পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৫৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য সত্যপ্রসাদ মজুমদার।
বুধবার দুপুরে আবরার হত্যা মামলায় আদালতের রায় নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে উপাচার্য এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় আইনজ্ঞের ফি, সাক্ষী হিসেবে শিক্ষার্থীদের আনা-নেয়ার খরচ আমরা বহন করছি। এ ছাড়া মামলার সব খরচ বুয়েট প্রশাসন থেকে বহন করা হচ্ছে। এ মামলার পেছনে আমাদের এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।’
আপিল বিভাগ এবং উচ্চ আদালতে মামলা গেলে তখনও সহযোগিতা করা হবে কি না জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, ‘ওনারা (আবরারের পরিবার) না চাইলেও সহযোগিতা করাটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।’
উপাচার্য বলেন, ‘আবরারের পরিবারের প্রতি আমরা শুরু থেকেই সহমর্মিতা দেখিয়ে এসেছি। আমরা তাদের সর্বতোভাবে সাহায্য করেছি। গত জুলাইয়ের এক তারিখ থেকে আমরা আবরারের পরিবারকে প্রতি মাসে ৭৫ হাজার টাকা করে দিচ্ছি। আগামী ১২ বছর তাদের এই টাকা দেয়া হবে।’
এক প্রশ্নের উত্তরে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শুধু এই মামলা পরিচালনা করতে গিয়েই আমাদের প্রায় ৫৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আবরারের পরিবারকে প্রতি মাসে যে ৭৫ হাজার টাকা দেয়া হয়, তা এই হিসাবের বাইরে।’
মাসিক অনুদান দেয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি দাবি ছিল আবরার ফাহাদের পরিবারকে যেন এই সহায়তা দেয়া হয়। এরপর আমরা একটি কমিটি গঠন করি। তারাও এটি দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। তাদের এই মত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে এবং সিন্ডিকেটে অনুমোদন হলে গত ১ জুলাই থেকে তাদের এ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। তবে ট্যাক্সসহ বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতি মাসে ৮২ হাজার ৩৩৩ টাকা দিতে হয়। আগামী ১২ বছর আবরার ফাহাদের বাবাকে এই সহায়তা দেয়া হবে।