বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘তোর পোয়া পইজ্জি তুই তুলগোই, আঁই কিত্তাম?’

  •    
  • ৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৭:৩২

আলী কাউছার বলেন, ‘কাউকে বলিনি, অন্ধকার রাত, রাতের বাজে দুইটা-আড়াইটা। তখন কাকে বলব? তখন এক পুলিশওয়ালাকে বলছিলাম, হয়যে (বলেন) তোর পোয়া পইজ্জি, তুই তুলগোই (তোর ছেলে পড়ছে, তুই তোল), আঁই কিত্তাম?

চট্টগ্রামে শিশু কামাল নালায় তলিয়ে যায় সোমবার বিকেল তিনটা থেকে চারটার মধ্যে। তার বাবা আলী কাউচার ঘটনাটি জানতে পারেন সন্ধ্যা ৭টার দিকে। তিনি তাৎক্ষণিক এ খবর দ্বায়িত্বশীল কাউকে জানাতে পারেননি। তবে নিউজবাংলার কাছে তিনি দাবি করেন, নালায় ছেলে নিখোঁজের বিষয়টি এক পুলিশ সদস্যকে জানানো হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। আলী কাউছার বলেন, ‘কাউকে বলিনি, অন্ধকার রাত, রাতের বাজে দুইটা-আড়াইটা। তখন কাকে বলব? তখন এক পুলিশওয়ালাকে বলছিলাম, হয়যে (বলেন) তোর পোয়া পইজ্জি, তুই তুলগোই (তোর ছেলে পড়ছে, তুই তোল), আঁই কিত্তাম? যা! যানা, এত্তুন যা না! দুউয়ো লাডির বাড়ি হাবিনে? আঁই হদ্দি বাজি আঁই যাইগুই। তই আঁই আইয়িনে এন্দি হুতি গেই।’তবে ওই পুলিশ সদস্য সম্পর্কে আর কোনো তথ্য দিতে পারেননি তিনি।

আলী কাউছার জানান, তিন ছেলে মেয়ের মধ্যে সবার ছোট কামাল। বাকি দুজন থাকে ঢাকায়। ৪ বছর আগে তার স্ত্রী মারা যান। আগে তিনি ছেলেকে নিয়ে ষোলশহর এলাকায় কাশেম চৌধুরীর কলোনি থাকতেন। এরপর ওঠেন সলি আমান কলোনিতে।

তবে কয়েকদিন আগে সেখান থেকেও বের হয়ে যান। বর্তমানে ষোলশহর রেলস্টেশনের ফুটওভার ব্রিজটাই ছিল বাবা-ছেলের ঠিকানা।ছেলে কামাল রেল স্টেশন এলাকায় পত্রিকা ফেরি করে বিক্রি করতেন বলেও জানান তিনি।নিখোঁজ শিশু কামাল হোসেনের বয়স ১২ বছর। ঘটনার দিন তার সঙ্গে ছিল রাকিব হোসেন নামে এক শিশু।তার ভাষ্য, ‘প্রথমে একটি খেলনা ও বোতল দেখে আমি নালায় নামি। হঠাৎ ডুবে যেতে ধরলে আমাকে বাঁচাতেই নালায় নামে কামাল। তখন আমি বোতল নিয়ে উপরে উঠে এলেও তলিয়ে যায় কামাল। সন্ধ্যা সাতটার দিকে বিষয়টি রেলস্টেশন এলাকায় কামালের বাবাকে জানাই আমি।’মঙ্গলবার আলী কায়ছার নালায় ছেলেকে খুঁজতে গেলে বিষয়টি স্থানীয় এক সাংবাদিকের নজরে আসে। এর পর তিনি ফায়ার সার্ভিসকে জানান। এদিন বিকেল তিনটা থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস।

শিশু কামালকে উদ্ধারে বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো ফায়ার সার্ভিসের অভিযান শুরু হয়েছে।ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী উপপরিচালক ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গতকাল রাত হয়ে যাওয়ায় নালার ভেতর অন্ধকারে কাজ করা কঠিন ছিল। এ কারণে রাত সাড়ে ১০টার দিকে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়। আজ দ্বিতীয় দিনের মতো কাজ শুরু হয়েছে।’গত ৩০ নভেম্বর নগরীর কাজির দেউড়ি এলাকায় নালায় পড়ে পা ভাঙে কলেজছাত্র ইয়াসীন আরাফাতের। এর আগে নগরীর আগ্রাবাদের মাজার গেট এলাকায় ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ হন শেহেরিন মাহমুদ সাদিয়া। এর পাঁচ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।২৫ আগস্ট নগরীর মুরাদপুর এলাকায় নালায় পড়ে নিখোঁজ হন সবজি ব্যবসায়ী সালেহ আহমেদ। তিন মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও তার মরদেহ উদ্ধার করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।৩০ জুন নগরীর ২ নম্বর গেইট এলাকায় একটি সিএনজি অটোরিকশা চশমা খালে পড়ে এক নারীসহ ২ জন নিহত হন।

এ বিভাগের আরো খবর