বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যামামলার রায়ে সন্তুষ্ট হয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সত্যপ্রসাদ মজুমদার। তবে সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের জন্য তিনি মর্মাহতও বলে জানিয়েছেন।
বুধবার দুপুরে রায়ের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে এমন মনোভাবের কথা তুলে ধরেন বুয়েট ভিসি।
দুই বছর তিন মাস পর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ২৫ আসামির মধ্যে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বুধবার ঢাকা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় উপাচার্য বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত রায় আজ আমরা পেয়েছি। আবরার হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার হয়েছে। খুব দ্রুতই রায় হয়েছে। তবে কোভিড পরিস্থিতি না থাকলে এ রায় আরও দ্রুত হতো। বিচার বিভাগের এ রায়ের ওপর আমাদের আস্থা রাখা উচিত।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছি। সর্বোচ্চ শাস্তিই হয়েছে। এখন আমরা আশা করি, এ রায় যেন দ্রুত ও স্বল্প সময়ের মধ্যে কার্যকর করা হয়।’
সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নিয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, ‘আমি বিভাগীয় প্রধান, ডিন এবং প্রভোস্টও ছিলাম। আমি ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের শিক্ষক ছিলাম। আমি আমার ছাত্রদের খুব ভালোবাসি। আমি বিশেষভাবে মর্মাহত হয়েছি।’
ভবিষ্যতে কোনো শিক্ষার্থী এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে তাদেরকেও সর্বোচ্চ শাস্তি ভোগ করতে হবে বলে জানান উপাচার্য।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সময় একেকজন ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত থেকেও একসঙ্গে ক্লাস করেছি। আমরা চাই, বুয়েট ক্যাম্পাসে সেই জিনিসটা আবার ফিরে আসুক। আমরা চাই, শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেন পূর্বের সেই ভালোবাসা এবং মানবতাবোধ ফিরে আসে। এ জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার চেষ্টা করছি।’