বিএনপি নেতাদের মিথ্যাচার, অশালীন বক্তব্য ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, নিজেদের জনবিচ্ছিন্নতা ঢাকতেই তারা এই ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অসংলগ্ন প্রলাপ বকছেন।
বুধবার দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে তিনি বিএনপির নেতাদের ‘অসংলগ্ন’ বক্তব্য, ‘মিথ্যাচার-অপপ্রচার’ ও অপরাজনীতির বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বিবৃতিতে বলেন, ‘সৃষ্টি থেকেই বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন একটি রাজনৈতিক দল। ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তই তাদের রাজনীতির হাতিয়ার। তারা নিজেদের জনবিচ্ছিন্নতা ঢাকতেই এই ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অসংলগ্ন প্রলাপ বকছেন। হতাশা আড়াল করতে মিডিয়াতে নানা কাল্পনিক কথা বলছেন।’
দেশের জনগণই আওয়ামী লীগের মূল শক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের পূর্ণ সমর্থন, আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে।’
কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতারা বলছেন- আওয়ামী লীগ নাকি ১৯৭১-এর পর জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া শুরু করে। বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য উদ্ভট আবিষ্কার ছাড়া আর কিছুই নয়। বিএনপি এখনও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সঙ্গে নিয়ে দেশবিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দেশের জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে, ধারাবাহিকভাবে জনগণের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে। অথচ বিএনপি নেতারা জনগণের ওপর নিপীড়নের ভিত্তিহীন কল্পকথা বলে চলেছেন। আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসা ও নির্যাতন-নিপীড়নের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।’
বিএনপির এসব বক্তব্য ‘ভূতের মুখে রাম রাম’ ধ্বনির মতো উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘এ দেশের জনগণ ভালোভাবেই জানে- বিএনপির ইতিহাস হত্যা, ষড়যন্ত্র আর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিপীড়নের ইতিহাস। বন্দুক ও বুটের তলায় জনগণকে জিম্মি করে ক্ষমতা দখলের ইতিহাস। তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী প্রত্যেকটি দেশপ্রেমিক নাগরিকের শত্রু গণশত্রুতে পরিণত হওয়ায় স্বৈরাচারের প্রতিভূ।’
বিএনপি নেতাদের কথা এবং কাজে মিল নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘তারা জনমতের কথা বলেন, অথচ তারা জনমত যাচাইয়ের সাহস রাখেন না, নির্বাচনে অংশগ্রহণে ভয় পান। নির্বাচনে জয়ী হয়েও বিএনপি মহাসচিব সংসদে যাননি- যা জনমতের সঙ্গে স্পষ্ট প্রতারণা।
‘মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তারা গণতন্ত্রের মুখোশের আড়ালে অন্তরে স্বৈরতন্ত্র ও দেশবিরোধী আদর্শকে ধারণ করে। গণমানুষের অধিকার হরণে চ্যাম্পিয়ন বিএনপি আজ মানবাধিকারের কথা বলছে, অথচ তারাই মানবাধিকার হরণে এ দেশে ন্যক্কারজনক ইতিহাসের প্রবর্তক।’