বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রায়ে খুশি, দ্রুত কার্যকরের দাবি বুয়েটশিক্ষার্থীদের

  •    
  • ৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৪:৩৭

বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ১৬ ব্যাচের শাফকাত ইসলাম সাকিব বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম এ রকম ফাঁসি নাও হতে পারে। এই রায় দেখে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করছি, সন্তোষজনক রায় হয়েছে। তবে এটি পুরোপুরি নির্ভর করবে এই রায় পরবর্তী সময়ে পরিবর্তন হবে কি না সেটির ওপর।’

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি চেয়েছেন তারা।

দুই বছর তিন মাস পর বুধবার আলোচিত আবরার হত্যা মামলার রায় হয়। রায়ে ২৫ আসামির মধ্যে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

আবরারকে যে রাতে হত্যা করা হয়, তার পরদিন ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর তার বাবা ১৯ শিক্ষার্থীকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ এজাহারের ১৬ জনসহ মোট ২১ জনকে গ্রেপ্তার করে। অভিযোগপত্রে মোট আসামি করা হয় ২৫ জনকে।

২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু হয়। দুই পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গত ১৪ নভেম্বর বিচারক এ মামলার রায়ের জন্য ২৮ নভেম্বর তারিখ রাখেন। তবে ওই দিন রায় লেখা বাকি থাকায় তারিখ পিছিয়ে ৮ ডিসেম্বর ঠিক করা হয়। সে অনুযায়ী রায় ঘোষণা হলো।

রায়ের পর বুয়েটের শিক্ষার্থীরা জানান, আদালতের এই রায়ে তারা সন্তুষ্ট। এ সময় শিক্ষার্থীরা অতি দ্রুত এই রায় কার্যকরের দাবি জানান।

এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো কর্মসূচি আছে কি না, জানতে চাইলে শিক্ষার্থীরা জানান, এই বিষয়ে তারা একসঙ্গে আলোচনা করে কর্মসূচি নির্ধারণ করে পরে জানাবেন।

পুরকৌশল বিভাগের ১৬ ব্যাচের শাফকাত ইসলাম সাকিব বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম এ রকম ফাঁসি নাও হতে পারে। এই রায় দেখে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করছি, সন্তোষজনক রায় হয়েছে। তবে এটি পুরোপুরি নির্ভর করবে এই রায় পরবর্তী সময়ে পরিবর্তন হবে কি না, সেটির ওপর।’

এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি ম্যাটার হচ্ছে আবরারের পরিবার কী রকম ফিল করছে। তারা যদি এ রায়ে সন্তুষ্ট হয়, তাহলে আমরাও সন্তুষ্ট। আর তারা যদি মনে করেন এ রায়ে নতুন কিছু মডিফিকেশন দরকার, তাহলে উনাদের সিদ্ধান্তকে আমরা সংহতি জানাব।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৭ ব্যাচের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিজ্ঞ আদালতকে ধন্যবাদ। প্রথম থেকে আমরা আদালতের রায়ের ওপর ভরসা করেছিলাম। আজকের এই রায়ের মাধ্যমে সে ভরসার আমরা প্রতিফলন পেয়েছি। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট। আমরা চাই, অতিদ্রুত এ রায় কার্যকর করা হোক। বর্তমানে বুয়েটে যে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় আছে, সেটিও যেন ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকে।’

মাহফুজুর রহমান নামের ১৬ ব্যাচের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের আইন ব্যবস্থা এবং মহামান্য আদালতের ওপর আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা ছিল। এখন যে রায় হয়েছে সেই রায়ে আবরারেন পরিবার সন্তুষ্ট হলে আমরাও সন্তুষ্ট।’

এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা চাই দ্রুততম সময়ে এ রায় কার্যকর করা হোক। যদিও এখানে আরও অনেক জটিলতা আছে। সুপ্রিম কোর্ট আছে, আপিল বিভাগ আছে। সবকিছু মিলিয়ে এই জটিলতা দ্রুত শেষ হয়ে দ্রুত যেন রায় কার্যকর হয়, এটিই আমাদের চাওয়া।’

এ বিভাগের আরো খবর