ঘন কুয়াশার কারণে বন্ধ থাকার ৮ ঘণ্টা পর বুধবার সকাল ৯টায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
দীর্ঘ সময় ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুই ঘাট এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এর আগে কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতে মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখে ঘাট কর্তৃপক্ষ। কুয়াশার ঘনত্ব কমে এলে বুধবার সকাল ৯টার দিকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জিল্লুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে হঠাৎ করেই মাঝপদ্মায় কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে সাময়িকভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। রাতভর বন্ধ থাকার পর সকালে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।’
এদিকে দীর্ঘ সময় ফেরি বন্ধ থাকায় এ নৌ-রুটের উভয় ঘাটে ৫ শতাধিক যানবাহন পারের অপেক্ষায় রয়েছে। সময় গড়ার সঙ্গে সঙ্গে অপেক্ষমাণ যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে।
বুধবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের সাড়ে ৪ কিলোমিটার অংশজুড়ে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি।
দীর্ঘ সময় ফেরি বন্ধ থাকায় দুই ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় পাঁচ শতাধিক যানবাহন।
এ ছাড়া জিরো পয়েন্ট থেকে বাইপাস সড়কের আড়াই কিলোমিটার অংশজুড়ে রয়েছে ব্যক্তিগত গাড়ির সারি এবং দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে গোয়ালন্দের মোড়ে ঢাকা-কুষ্টিয়া মহাসড়কে রয়েছে প্রায় ২ কিলোমিটারজুড়ে পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের সারি। দীর্ঘ সময় ফেরি পারের অপেক্ষায় আটকে থেকে ভোগান্তিতে পড়েছেন চালক ও যাত্রীরা।
কুষ্টিয়া থেকে আসা অ্যাম্বুলেন্স-চালক আনোয়ার হোসেন জানান, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রোগী নিয়ে রাত ২টা থেকে তিনি ঘাটে অপেক্ষা করছেন। কখন নদী পার হতে পারবেন তাও জানেন না। তবে দ্রুত পৌঁছাইতে না পারলে রোগীর সমস্যা হবে বলে জানান তিনি।বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক জামাল হোসেন জানান, ‘ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যানের সংখ্যা দ্রুত কমে যাবে। এ মুহূর্তে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটে ১৬টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।’