তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে সদ্য পদত্যাগ করা ডা. মুরাদ হাসানের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করে নারী অবমাননার দায়ে তার গ্রেপ্তার দাবি করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
অন্যথায় তারা কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাষ্কর্যের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়। সমাবেশ শেষে তারা মুরাদ হাসানের কুশপুতুলে আগুন দেন।
সমাবেশে পরিষদের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতারা অংশ নেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘মুরাদ হাসানকে শুধু মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করলেই হবে না। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান, নৈতিক স্খলনের কারণে তাঁর সংসদ সদস্য পদ বাতিল করে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
‘এমন অনেক মুরাদ আওয়ামী লীগের ভেতরে বাস করছেন। আওয়ামী লীগকে বলছি, আরও যত মুরাদ রয়েছে, প্রত্যেককে হুঁশিয়ার করে দিন।’
পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘মুরাদের বক্তব্য একটি পচে যাওয়া রাষ্ট্রের প্রতিচ্ছবি। বর্তমান সরকার সংসদকে একটি নাট্যশালায় পরিণত করেছে। মুরাদ হাসানকে শুধু মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করলেই হবে না, তাঁকে অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
সমাবেশে ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসাইন বলেন, মুরাদ হাসান শুধু নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যই করেননি, তাঁর বক্তব্য বর্ণবৈষম্যমূলক ও সাম্প্রদায়িক। তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক, যাতে অন্য কেউ এ ধরনের মন্তব্য করার সাহস না পায়। মুরাদ যেন দেশ থেকে পালিয়ে যেতে না পারেন।’
পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাহিত্য সম্পাদক জাহিদ আহসানের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি তারেকুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাকিল মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্যা রহমতুল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক মো. সানাউল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সমাবেশ শেষে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন।