বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিক্ষা বোর্ডের অ্যাকাউন্টে ১৮ লাখ টাকা জমা দিল কে?

  •    
  • ৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:৪৩

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে গত বছর ১৮ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩১ টাকা আত্মসাতের মামলা হয়েছিল। জমা দেয়া টাকার পরিমাণও একই।

রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের হিসাবে সম্প্রতি ১৮ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩১ টাকা জমা হয়েছে। তবে টাকা কে জমা দিয়েছেন তা নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা।

শিক্ষা বোর্ড সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বোর্ডের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলা থেকে রেহায় পেতে এই টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে গত বছর ১৮ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩১ টাকা আত্মসাতের মামলা হয়েছিল। জমা দেয়া টাকার পরিমাণও একই।

তারা আরও জানান, আবুল কালাম আজাদ শিক্ষাবোর্ডের সচিব হন ২০১৪ সালের ১০ জুলাই। এরপর ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে চেয়ারম্যান করা হয়। দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে ২০১৯ সালের জুনে তাকে সরিয়ে দেয়া হয়। এরপর অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

অনুসন্ধান শেষে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় আবুল কালাম আজাদসহ ১৪ জনকে আসামি করে মামলা করে। আসামিদের মধ্যে চারজন ঠিকাদার এবং অন্যরা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারী।

ব্যাংক থেকে জানা গেছে, শিক্ষা বোর্ডের ব্যাংক হিসাবে জমা দেয়া টাকার পরিমাণ মামলায় উল্লেখ করা টাকার সমান। সেখানে টাকা জমার কারণ হিসেবেও ওই মামলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর সোনালী ব্যাংকের গ্রেটার রোড শাখায় টাকাগুলো জমা দেয়া হয় জানিয়ে শাখার ব্যবস্থাপক তারিক হাসান বলেন, ‘দুদকের একটি মামলার বিবরণ দিয়ে টাকাগুলো জমা করা হয়েছে। জমাকারী হিসেবে শওকত আলী নামে একজনের নাম লেখা আছে, কিন্তু আমরা তাকে চিনি না।

‘কাউন্টারে অনেক মানুষই টাকা জমা দেয়, সবাইকে চিনে রাখা সম্ভব নয়। টাকা জমা হওয়ার পর শিক্ষা বোর্ডকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েও জানানো হবে।’

রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানও নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। তবে অফিসিয়াল কোনো কাগজ পাননি।

আর দুদকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, ওই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি টাকা ফেরত দিয়ে মামলা থেকে আসামিদের দায়মুক্তির আবেদন করা হয়। তবে আবেদনটি কে করেছেন তা জানাতে পারেননি তিনি।

এদিকে টাকা জমার কারণ জানা গেলেও কে দিয়েছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আসামিদের কেউই টাকা জমা দেয়ার কথা স্বীকার করেননি।

টাকা জমার রশিদে মামলার আসামি শওকত আলীর নাম থাকলেও ওই ঠিকাদারের দাবি, তিনি কোনো টাকা জমা দেননি। তার নাম অন্য কেউ ব্যবহার করেছে।

শওকত নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানের পাওয়া কয়েকটি কাজ না করেও বিল তুলে নেয়ার অভিযোগে মামলাটি করা হয়। তবে সব কাজই করা হয়েছিল। এখন কে টাকা ফেরত দিয়েছে, সেটা আমি বলতে পারব না। আমি টাকা দিইনি।’

সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমি অসুস্থ, ঢাকায় থাকি। আমি কোনো টাকা ফেরত দিইনি। কে টাকা জমা দিয়েছেন তাও জানি না। মামলার অন্য আসামিরাই এখন মামলা দেখেন, তারা দিয়েছেন কি না সেটাও জানি না।’

মামলার আসামি শিক্ষা বোর্ডের উপকলেজ পরিদর্শক নেসার উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘কে টাকা জমা দিয়েছে তা আমিও জানি না। আমি তো শুধু মামলার দিন আদালতে হাজিরা দিই। করোনার কারণে অনেক দিন হাজিরাও দেয়া লাগেনি।’

এ বিভাগের আরো খবর