বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হত্যা সন্দেহে ৫ বছর পর মরদেহ উত্তোলন

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:১৩

কামরুল হাসান বলেন, ‘আসামিরা পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। ঘটনার দিন ভাইয়ের মোটরসাইকেলের পেছনে বসা ছিলেন জুয়েল। ভাইয়ের মাথায় আঘাত করেন তিনি। ওই হত্যার ঘটনাটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বলে প্রচার করা হয়।’

আদালতের নির্দেশে বগুড়ার নন্দীগ্রামে পাঁচ বছর পর কবর থেকে সাংবাদিক শফিউল আলম বিপুলের মরদেহ তোলা হয়েছে।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বর্ষণ গ্রামে বিপুলের পারিবারিক কবরস্থান থেকে মরদেহ তোলে পুলিশ।

'মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়' মৃত্যুর প্রায় পাঁচ বছর পর হত্যা মামলা করেন তার ছোট ভাই। এ অবস্থায় মরদেহ তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুপম দাসের উপস্থিতিতে মরদেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ নিউজবাংলাকে এ সব তথ্য জানান।

বগুড়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত ৩০ নভেম্বর মরদেহটি তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয়।

শফিউল আলম বিপুল বগুড়ার বর্ষণ গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে। তিনি দৈনিক ইত্তেফাক ও দৈনিক সকালের আনন্দ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন। বিপুলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ এনে তার ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম গত বছরের ৬ ডিসেম্বর বগুড়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে আবেদন করেন।

আদালতের নির্দেশে মামলাটি চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর থানায় রেকর্ডভূক্ত হয়।

মামলার আসামিরা হলেন, বর্ষণ গ্রামের আমিনুল ইসলাম জুয়েল, আব্দুল মান্নান, মোজাম্মেল হক, আব্দুল মজিদ, মানিক উদ্দিন, খোকন হোসেন, কোলদিঘী গ্রামের সাইদুল ইসলাম এবং বরেন্দ্র পাকুরিয়াপাড়া গ্রামের আবু সাঈদ।

বিপুলের ভাই কামরুল হাসান বলেন, ‘আসামিরা পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। ঘটনার দিন ভাইয়ের মোটরসাইকেলের পেছনে বসা ছিলেন জুয়েল। তিনি ভাইয়ের মাথায় আঘাত করেন। ওই হত্যার ঘটনাটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বলে প্রচার করা হয়।’

নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ মর্গে নেয়া হয়েছে।

২০১৬ সালের ২৮ জুন নন্দীগ্রাম থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিজরুল সড়কের কালিসপুরে এক দুর্ঘটনায় মারা যান সাংবাদিক বিপুল। পরে তাকে বর্ষণ গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। তখন দুর্ঘটনা মেনে নিলেও প্রায় পাঁচ বছর পর হত্যা মামলা করেছেন তার ছোট ভাই।

এ বিভাগের আরো খবর