বিজয়ের মাসে চরকিতে মুক্তি পেতে যাচ্ছে অরিজিনাল সিরিজ ‘জাগো বাহে’। আগামী ৯ ডিসেম্বর থেকে প্রতি সপ্তাহে মুক্তি পাবে অ্যান্থোলজি এই সিরিজের একটি করে পর্ব।
সিরিজের ‘শব্দের খোয়াব’ পর্বটি পরিচালনা করেছেন সিদ্দিক আহমেদ, ‘লাইটস, ক্যামেরা... অবজেকশন’ করেছেন সালেহ সোবহান অনীম এবং সুকর্ণ শাহেদ ধীমান করেছেন ‘বাংকার বয়’।
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ‘জাগো বাহে’ সিরিজটির ট্রেলার প্রকাশ করা হয়। এ আয়োজনে প্রতিটি পর্বের আলাদা পোস্টার এবং টিজারও দেখানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে চরকির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি বলেন, “চরকি সবসময় বৈচিত্র্যময় কনটেন্ট নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এবার বিজয়ের মাসে আমাদের বিশেষ আয়োজন ‘জাগো বাহে’। ডিসেম্বর মাসজুড়ে চলবে আমাদের এই আয়োজন।”
এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন নগদ-এর নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট। তিনি বলেন, ‘চরকির এমন আয়োজনের সঙ্গে নগদ যুক্ত হতে পারায় বেশ ভালো লেগেছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষ্য বিজয়ের মাসজুড়ে নগদের মাধ্যমে চরকিতে সাবস্ক্রিপশন করলে থাকবে ৫০ শতাংশ ছাড়।’
‘শব্দের খোয়াব’-এর পরিচালক সিদ্দিক আহমেদ বলেন, ‘ভিন্ন কিছু করার প্রয়াস থেকেই আমরা এমন তিনটি গল্প বলেছি যা দিয়ে আমাদের জাতি হিসেবে জেগে ওঠা বা ক্রমশ প্রতিবাদী হয়ে ওঠার যাত্রাটা ধরতে পারি।
‘আমি ব্যক্তিগতভাবে পরিচালনা করেছি শব্দের খোয়াব, যা ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনকে প্রতিনিধিত্ব করে। এটা থেকেই আসলে সবকিছুর শুরু। একটা অফিসের গল্প বলেছি, যা হয়ে উঠেছে দেশের রূপক। শ্যুটিংয়ে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ছিল ওই সময়টাকে ধরা। কারণ রাস্তাঘাট পরিবেশ কিছুই আর আগের মতো নেই। সবকিছুকেই নতুনভাবে নির্মাণ করে নিতে হয়েছে। দলগত প্রচেষ্টা ছিল বলেই কাজটা সম্ভব হয়েছ। দলগত প্রচেষ্টার ভেতর আমার টিম ছাড়াও অভিনেতা এবং চরকি টিমের লোকদের অফুরন্ত সহায়তা পেয়েছি।’
সালেহ সোবহান অনীম পরিচালিত ‘লাইটস, ক্যামেরা... অবজেকশন’ সিনেমাটি জহির রায়হানের ‘জীবন থেকে নেয়া’ সিনেমা সেন্সর না দেয়ার ঘটনাকে উপজীব্য করে।
পরিচালক বলেন, ‘সিনেমাটি সংলাপনির্ভর। সিনেমার আইডিয়া থেকে শুরু করে স্ক্রিপ্টিং পর্যন্ত লেখকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আর সব মিলিয়ে অভিনেতারা শুটিংয়ের সময় খুব বড় সাপোর্ট দিয়েছেন।’
‘বাংকার বয়’-এর পরিচালক সুকর্ণ সাহেদ ধীমান বলেন, ‘বাংকার বয় সিনেমাটি মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত। সিনেমার প্রয়োজনে যুদ্ধক্ষেত্র বিনির্মাণ করতে হয়েছিল। এমন লোকেশন খুঁজে পেতেই সহকর্মীদের সবচেয়ে বেশি ঘাম ঝরাতে হয়েছে। তাছাড়া বৃষ্টি, কাদা আর শীতে অভিনেতারাও প্রচণ্ড পরিশ্রম করেছেন। আশা করি, সিরিজটি দর্শকদের কাছে নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে হাজির হবে।’