বাঙালির ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় নিয়ে গবেষণাধর্মী ‘নেতা মোদের শেখ মুজিব’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণভবনে মঙ্গলবার বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এই গ্রন্থের সম্পাদক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে।
গ্রন্থটির সঙ্গে যুক্ত সবার প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল বিশ্বের সারিতে প্রবেশ করেছে। মুজিব শতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে উন্নয়নের সকল সূচকে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বেশি মাথাপিছু আয়ের দেশ।’
গ্রন্থের সম্পাদক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে উপহাস করে বলা হয়েছিল তলাবিহীন ঝুড়ি। সেই বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল বিশ্বের রোল মডেল।’
সব অর্জন আওয়ামী লীগের হাত ধরে এসেছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কান্ডারি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা আর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হয়েছি স্বনির্ভর বাংলাদেশ।’
ছবিপ্রধান এই গ্রন্থে তুলে ধরা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমলের (১৯৪৯-১৯৭৫) আওয়ামী লীগের সচিত্র ইতিহাস।
রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা, আওয়ামী লীগে বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং নেতৃত্বের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে এতে। গ্রন্থটিতে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত প্রতিটি সম্মেলন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের নাম, নির্বাচনি ইশতেহারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দলিল সন্নিবেশিত হয়েছে।
৫১৬ পৃষ্ঠার ‘নেতা মোদের শেখ মুজিব’ গ্রন্থটির পাণ্ডুলিপি পরিমার্জন এবং সংশোধন করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গ্রন্থের সম্পাদনা পর্ষদের সঙ্গে যুক্ত অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, প্রধান গবেষক নাজমুল হোসেন এবং প্রকাশক মাওলা ব্রাদার্সের আহমেদ মাহমুদুল হক।
গ্রন্থের সম্পাদনা পর্ষদে আরও আছেন মাহবুব উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম, এন আই খান, মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান, ড. মো. হারুন অর রশিদ বিশ্বাস, সৈয়দ বেলাল হোসেন ও মো. শরীফ মাহমুদ অপু।
গ্রন্থটির গবেষণায় যুক্ত ছিলেন রাজিব দাস, সৈয়দ মিজানুর রহমান, সাফিয়া তাসনিম খান প্রমুখ।