বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গরম কাপড়ের দোকানে মানুষের ভিড়

  •    
  • ৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ২১:৪২

আসমা আক্তার বলেন, ‘শীতের পোশাক আরও পরে কিনতাম। কিন্তু হঠাৎ বেশ ঠান্ডা অনুভূত হওয়ায় কিনতে হচ্ছে। বাচ্চাদের কথায় অল্পদামে ফুটপাত থেকে কয়েকটা কাপড় কিনলাম। না দিলে আবার মন খারাপ করতো।’

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে অবিরাম গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতে কমছে তাপমাত্রা। এ অবস্থায় গরম কাপড়ের বেঁচাকেনা বেড়েছে মানিকগঞ্জের অলিগলি আর ফুটপাতের দোকানে।

দাম নাগালের মধ্যে থাকায় এসব দোকানে ভিড় করছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। তবে বড়দের পোশাকের চেয়ে ছোটদের পোশাকে আগ্রহ বেশি ক্রেতাদের। বেঁচাকেনা ভালো হওয়ায় খুশি দোকানিরা।

সরেজমিনে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেখা গেছে, জেলা বাসস্ট্যান্ড, পৌর সুপার মার্কেট, কোর্টচত্বর, শহীদ রফিক সড়কসহ শহরের ফুটপাতের দোকানে ক্রেতার ভিড়।

সাটুরিয়া রাবেয়া বেগম বলেন, ‘জরুরি কাজে কয়েকদিন আগে মানিকগঞ্জ শহরের আসার কথা ছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে পারি নাই। আজকে বৃষ্টি থামায় তাড়াতাড়ি করে আইছি। কাজ শেষ করে যাওয়ার পথে ছোট মেয়ের জন্য শীতের কাপড় কিনলাম।’

সদর উপজেলার জাগির এলাকার আসমা আক্তার বলেন, ‘শীতের পোশাক আরও পরে কিনতাম। কিন্তু হঠাৎ বেশ ঠান্ডা অনুভূত হওয়ায় কিনতে হচ্ছে। বাচ্চাদের কথায় অল্পদামে ফুটপাত থেকে কয়েকটা কাপড় কিনলাম। না দিলে আবার মন খারাপ করতো।’

শহরের বান্দুটিয়া এলাকার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ভাই আমি দিন আনি, দিন খাই।তাই রাস্তার ভ্যান থেকে দুইটা শীতের পোশাক নিলাম। একটা আমার জন্যে আর একটা ছোট বাচ্চার জন্যে।

‘কয়দিন পর বউরে একটা কিনা দিমু। মনে তো চায় ভালো জামা কাপড় কিনি কিন্তু টাকা তো নাই। সাধ্যের মধ্যে যা আছে, তাই দিয়া নিলাম।’

শহীদ রফিক সড়কের পোশাক বিক্রেতা ফারুক মিয়া জানান, ‘কয়েকমাস ধরে বেঁচাকেনা মন্দ ছিল। কিন্তু বৃষ্টি আর হিমেল বাতাসের কারণে বেচাকেনা একটু বাড়ছে। নতুন মাল উঠাতে না পারায় কাস্টমার ঘুরে যাচ্ছে। তারপরেও ভালোই বেচাকেনা হচ্ছে। সামনে আরও বাড়বে।’

শহরের লক্ষ্মী মন্টপের ব্যবসায়ী নিরঞ্জন বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে ঠান্ডা পরায় বেচাকেনা বাড়ছে। ক্রেতারা এখন খালি ছোটদের পোশাক কিনছে।’

মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) লুৎফর রহমান জানান, শীতের সময় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে শিশু ও বাচ্চাদের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। না হলে শীত ও ঠান্ডজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে।

এ বিভাগের আরো খবর