জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যায় জড়িত আজিজ পাশাকে ‘মরণোত্তর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’ ঘোষণা করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যাবতীয় আর্থিক সুবিধা দিয়েছিল জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ও প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জয় বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে বর্বরভাবে যারা খুন করে, তাদেরই একজন অন্যতম খুনি আজিজ পাশা। পরবর্তীতে খালেদা জিয়ার কাছে বিশেষ আস্থাভাজন ব্যক্তি হয়ে উঠেছিলেন তিনি। ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর খুনি আজিজ পাশাকে মরণোত্তর পুরস্কার দেন খালেদা জিয়া।’
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর, খুনি আজিজ পাশাকে প্রথমে ‘উপহার স্বরূপ’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জিয়াউর রহমান চাকরি দেয় বলেও জানান তিনি।
বলেন, ‘জিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় আর্জেন্টিনা, কেনিয়া ও ইতালিতে কূটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আজিজ পাশা। এরপর ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া সরকার গঠনের পর আরও কাছে টেনে নেন তাকে। খালেদার একান্ত বিশ্বাসভাজন কর্মকর্তা হিসেবে জিম্বাবুয়ের ডেপুটি হাই কমিশনার হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন তিনি।’
১৯৯৬ সালে আওয়ামী সরকার গঠন করার পর আজিজ পাশাকে পদচ্যুত করে তাকে দেশে ফেরার আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু তিনি আর দেশে ফেরেননি। ২০০১ সালে জিম্বাবুয়েতেই মারা যান তিনি।
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে তাকে ‘পুরস্কৃত করেন’ বলে জানান সজীব ওয়াজেদ জয়।
তিনি বলেন, “এরপর যাবতীয় নিয়ম ভঙ্গ করে মৃত আজিজ পাশাকে আবারেও চাকরিতে বহাল করেন তিনি। মৃত এই খুনির চাকরি ফিরিয়ে দিয়ে, তারপর মরণোত্তার অবসরে পাঠানো হয়। এমনকি তাকে ‘মরণোত্তর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’ হিসেবে ঘোষণা করে যাবতীয় আর্থিক সুবিধা প্রদান করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।”