দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার সুযোগের দাবিতে এবার জেলা পর্যায়ে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
গত শনিবার দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মঙ্গলবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সভায় বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রেরণের দাবিতে আগামী ২০ ডিসেম্বর হতে জেলা পর্যায়ে সমাবেশ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই সব সমাবেশে কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।’
প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত হওয়ার পর ২০২০ সালের মার্চে বাসায় ফেরেন বিএনপি নেত্রী। সে সময়ই শর্ত দেয়া হয় তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
এক বছর পর গত এপ্রিলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হলে তাকে বিদেশে নিতে স্বজনদের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। কিন্তু আইনে সুযোগ নেই বলে তা নাকচ করে সরকার।
সম্প্রতি বিএনপি নেত্রীকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তিনি জীবন সংশয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তবে সরকার এখনও তার অবস্থানে অটল। এই অবস্থায় বিএনপির পক্ষ থেকে রাজধানীতে গণ অনশন ছাড়াও নানা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
বিএনপি নেত্রীর লিভার সিরোসিস হয়েছে বলে তার চিকিৎসায় গঠন করা মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা জানিয়েছেন, যাদের সিংহভাগই তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক। তারা দাবি করেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর যে রোগ, তার চিকিৎসা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির কিছু বিশেষায়িত হাসপাতালে আছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতির তথ্য জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে এখনও বলা হচ্ছে, বিদেশে পাঠাতে দেরি হলে কিছু একটা হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে সরকার দায় এড়াতে পারবে না বলেও হুঁশিয়ার করেছেন নেতারা।