সংঘর্ষ ও বিশৃঙ্খলায় জড়িত থাকার দায়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত তিন কর্মীকে ক্যাম্পাসে অবস্থান না করার নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। অভিযোগ উঠেছে, হল ও ক্যাম্পাসে অবস্থান করার পাশাপাশি তারা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের দাবি, বহিষ্কারের চিঠি এখনও তাদের হাতে পৌঁছায়নি বলে পরীক্ষায় নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়নি।
পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা হলেন আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. নাঈম, একই শিক্ষাবর্ষের বাংলা বিভাগের সাইফুল ইসলাম এবং আরবি বিভাগের তৌহিদ ইসলাম।
গত ১৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ, রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভার এক সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষ ‘সিক্সটি-নাইন’ ও ‘সিএফসির’ ১২ কর্মীকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাদের মধ্যে দুজনকে এক বছর ও বাকিদের ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়। পরীক্ষায় অংশ নেয়া তিন শিক্ষার্থী বহিষ্কৃত হন ৬ মাসের জন্য।
নিয়ম অনুযায়ী, যারা শাস্তি পেয়েছেন বহিষ্কারের মেয়াদে তারা ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। অবস্থান করতে পারবে না আবাসিক হল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ও আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের (আইএমএল) প্রথম বর্ষের পরীক্ষা চলছে। শেষ হয়েছে একই শিক্ষাবর্ষের আরবি বিভাগের পরীক্ষা। তবে কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই ওই তিন বিভাগের বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।
পরীক্ষা চলমান তিন বিভাগের চেয়ারম্যান বহিষ্কার আদেশের কোনো চিঠি পাননি বলে দাবি করেছেন। একই কথা বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক চৌধুরী আমীর মোহাম্মদ মুছা।
নিউজবাংলাকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক চৌধুরী আমীর মোহাম্মদ মুছা বলেন, ‘সিন্ডিকেট থেকে অনুমোদন হয়ে চিঠি আমাদের কছে আসেনি। প্রক্টর বিষয়টি ভালো জানবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ, রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সদস্য ড. মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম সোহেল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যেদিন থেকে ডিসিপ্লিনারি মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেদিন থেকে বহিষ্কার আদেশ কার্যকর হওয়ার কথা। তারপরও কেন চিঠি যায়নি সেটি আমি কাল খবর নেব।’
‘যদি পরীক্ষা দিয়েও থাকে, সিদ্ধান্ত যাওয়ার পর পরীক্ষা বাতিল হলে যাবে। এটাই হওয়ার কথা।’ যোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হাসান ভুঁইয়া বলেন, ‘সব জায়গায় কেন চিঠি পৌঁছায়নি এবং এত দেরির কারণ খতিয়ে দেখছি।’