বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিবপুর উপজেলা আ. লীগ সভাপতিকে অব্যাহতি

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৯:২৭

নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিএম তালেব হোসেন বলেন, ‘হারুন-অর রশীদ খান শিবপুর আওয়ামী লীগকে প্রতিবন্ধী আওয়ামী লীগে পরিনত করেছেন। তিনি আত্মীয়-স্বজনদের পদায়িত করার পাশাপাশি পদ নিয়ে বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলেন। তার এসব কর্মকাণ্ডে নেতাকর্মীর মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে তাকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

দলীয় শৃঙ্খল ভঙ্গসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হারুন-অর রশিদ খানকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

সোমবার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খল ভঙ্গ, অনৈতিকভাবে অর্থ আদায়, পদ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হারুন-অর রশিদকে অব্যহতি দেয়া হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নম্বর সিনিয়র সহসভাপতি মহসিন নাজিরকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম ভুইয়া রাখিলকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় কার্যক্রম গতিশীল করতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে চিঠিতে।

দলীয় সূত্র জানায়, হারুন ২৫ বছর ধরে শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি বর্তমানে শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।

তৃনমূল নেতাকর্মীরা জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নের জন্য কেন্দ্রে নামের তালিকা পাঠানো নিয়ে বাণিজ্য করেছেন হারুন। তিনি জনপ্রিয় নেতাকর্মীর নাম বাদ দিয়ে জনবিচ্ছিন্নদের নাম কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে প্রার্থীদের নামের তালিকা পাঠানোর ক্ষেত্রেও বাণিজ্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

হারুনের সঙ্গে লেনদেনের মাধ্যমে মনোনয়ন পাওয়া অভিযুক্ত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তৃনমূল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।

নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিএম তালেব হোসেন বলেন, ‘হারুন-অর রশীদ খান শিবপুর আওয়ামী লীগকে প্রতিবন্ধী আওয়ামী লীগে পরিনত করেছেন। তিনি আত্মীয়-স্বজনদের পদায়িত করার পাশাপাশি পদ নিয়ে বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলেন। তার এসব কর্মকাণ্ডে নেতাকর্মীর মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে তাকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

হারুন-অর রশিদ খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও শিবপুরের এমপিকে কটাক্ষ করে আমি কোনো কথা কখনো বলিনি। ২০১৯ সালে পুটিয়া কাউন্সিলে আমার একটি বক্তব্য এডিট করে কেন্দ্রে জমা দেয়া হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। একটি চক্র ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। এ কারণে আমাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিানার দ্বারস্থ হবো। পরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সব বিষয় উপস্থাপন করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর