বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্যান্ডোরা পেপার্সে ৮ বাংলাদেশির নাম

  •    
  • ৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৯:১৬

দ্বিতীয় দফায় প্রকাশিত প্যান্ডোরা পেপার্সের নথিতে নিহাদ কবীর নামের এক বাংলাদেশি নারী ব্যবসায়ীর নাম রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তিনি মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্টের পদে রয়েছেন। এই নথিতে ইসলাম মঞ্জুরুল নামের আরেক বাংলাদেশির নাম রয়েছে। অন্য বাংলাদেশি যাদের নাম নথিতে ফাঁস হয়েছে তারা হলেন সাইদুল হুদা চৌধুরী, আনিতা রানী ভৌমিক, সাকিনা মিরালি, মোহাম্মদ ভাই, ওয়াল্টার প্রাহমাদ ও ড্যানিয়াল আরনেস্টো আয়ুবতী।

বিশ্বের ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের গোপন সম্পদ, আর্থিক লেনদেন, কর ফাঁকি ও অর্থ পাচারের তথ্য ফাঁস হওয়া প্যান্ডোরা পেপার্সের দ্বিতীয় দফায় আট বাংলাদেশির নাম পাওয়া গেছে।

সোমবার বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টসের (আইসিআইজে) ফাঁসকৃত আর্থিক দলিলপত্রে ওই ৮ বাংলাদেশির নাম প্রকাশ করা হয়েছে।

আইসিআইজে তাদের প্রতিবেদনে জানায়, ওইসব নথিতে ৭ লাখ ৪০ হাজার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের গোপন তথ্য উঠে এসেছে।

প্যান্ডোরা পেপার্সের দ্বিতীয় দফায় যে ৮ বাংলাদেশির নাম পাওয়া গেছে তাদের সবারই অন্যান্য দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে। এসব দেশের মধ্যে আছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া এবং আর্জেন্টিনা।

দ্বিতীয় দফায় প্রকাশিত প্যান্ডোরা পেপার্সের নথিতে নিহাদ কবীর নামের এক বাংলাদেশি নারী ব্যবসায়ীর নাম রয়েছে। তিনি ২০১৭ সাল থেকে মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্সের (এমসিসিআই) প্রেসিডেন্টের পদে রয়েছেন। নথির তথ্যে বাসস্থানের ঠিকানা দেখানো হয়েছে রাজধানী ঢাকার ইন্দিরা রোডে তার একটি বাসা।

ক্যাপিটাল ফেয়ার হোল্ডিংস লিমিটেড নামে ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডসে তার মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ২০০৮ সালের ৮ আগস্ট ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে অফশোর কোম্পানি হিসেবে এটি নিবন্ধিত হয়।

এই নথিতে ইসলাম মঞ্জুরুল নামের আরেক বাংলাদেশির নাম রয়েছে। ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডসে ওরিয়েন্টাল এগ্রিকালচারাল কেমিক্যাল কোম্পানি নামে নিবন্ধিত একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক তিনি। তার বাসার ঠিকানা হিসেবে পাওয়া গেছে গুলশান। তার যুক্তরাজ্যের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে।

অন্য বাংলাদেশি যাদের নাম নথিতে ফাঁস হয়েছে তারা হলেন সাইদুল হুদা চৌধুরী, আনিতা রানী ভৌমিক, সাকিনা মিরালি, মোহাম্মদ ভাই, ওয়াল্টার প্রাহমাদ ও ড্যানিয়াল আরনেস্টো আয়ুবতী।

সাইদুল হুদা, সাকিনা ও মোহাম্মদ ভাইয়ের ঠিকানা দেয়া হয়েছে গুলশান। আনিতা রানীর ঠিকানা দেয়া ছিল চকবাজার।

তবে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশিদের অবৈধ ও গোপন আর্থিক কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে নিশ্চিত করে তথ্য পাওয়া যায়নি। এমনকি যেসব সাংবাদিক এই তথ্য ফাঁস করেছেন তারাও সেটি নিশ্চিত করতে পারেননি যে যাদের নাম প্রকাশ পেয়েছে তারা সবাই অনৈতিক কাজে জড়িত।

চলতি বছরের অক্টোবরে প্যান্ডোরা পেপার্সের প্রথম দফার প্রকাশিত তথ্যে বাংলাদেশি প্রভাবশালী ব্যবসায়ী আবদুল আউয়াল মিন্টুর নাম উঠে এসেছিল।

দ্বিতীয় ধাপে ফাঁস হওয়া তথ্যে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সাইদুলের মালিকানাধীন অফশোর প্রতিষ্ঠানের নাম বিবেন ইন্টারন্যাশনাল, আনিতা ভৌমিকের ইন্টারপ্রাইজ হোল্ডিংস লিমিটেড, সাকিনার মুন রেকার সার্ভিস করপোরেশন, মোহাম্মদ ভাইয়ের ১৯৩৬ হোল্ডিংস লিমিটেড, প্রাহমাদের স্লিন্ট লিংক ইন্টারপ্রাইজ ও ড্যানিয়ালের মালিকাধীন কুডেল লিমিটেড।

এই দফায় প্রকাশিত মোট নথির সংখ্যা এক কোটি ২০ লাখ।

গত কয়েক মাস ধরে ১১৭ দেশের ছয় শতাধিক সাংবাদিকের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রকাশ পেয়েছে প্যান্ডোরা পেপার্সের দ্বিতীয় দফার নথিগুলো।

আইসিআইজে জানায়, ওইসব নথিতে ১৫ শ অফশোর সার্ভিস কোম্পানি ও ব্যক্তির ২ দশমিক ৯৪ টেরাবাইট গোপন তথ্য রয়েছে।

ওই সার্ভিস কোম্পানিগুলো বিশ্বজুড়ে ট্যাক্স হ্যাভেন দেশগুলোতে কেবল কাগজেকলমে অস্তিত্ব আছে, বাস্তবে কোনো কার্যালয় বা কর্মী নেই এমন সব প্রতিষ্ঠান ও ট্রাস্ট পরিচালনা করে।

ক্ষমতার আড়ালে ও গোপন অফশোর প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হাজারো ধনকুবের যে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, তা বিশ্বকে আরেকবার জানান দিয়েছে প্যান্ডোরা পেপার্স।

এ বিভাগের আরো খবর