মূল্য সংযোজন কর-ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে রাজধানীর উত্তরায় ‘ননী সুইটসে’ অভিযান চালিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট গোয়েন্দাদের একটি দল।
ভ্যাট মেশিন তথা আধুনিক প্রযুক্তির ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস বা ইএফডির পরিবর্তে প্রতারণার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ভুয়া চালান ইস্যু করে ভ্যাট ফাঁকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ওই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটিতে মঙ্গলবার অভিযান চালানো হয় বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন ভ্যাট নিরীক্ষা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।
তিনি বলেন, ‘উত্তরার ননী সুইটসে ইএফডি মেশিন বসানো হলেও তাতে চালান কর্তন না করে ভুয়া চালানে মিষ্টি বিক্রি করা হচ্ছিল। একজন ক্রেতার পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ পাওয়ার পর ভ্যাট গোয়েন্দা অফিসের উপপরিচালক মুনাওয়ার মুরসালীনের নেতৃত্বে ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়।
‘অভিযানে ভ্যাট গোয়েন্দারা ক্রেতার ওই অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন। অনুসন্ধানে প্রতিষ্ঠানের ৪০টি অবৈধ চালান বই জব্দ করা হয়।
নথি পরীক্ষা করে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি সরকারকে যে পরিমাণ ভ্যাট পরিশোধ করার কথা তা করছে না। প্রতিষ্ঠানটির কোনো নিবন্ধন নম্বরও নেই।’
ভ্যাট কর্মকর্তারা জানান, প্রতিষ্ঠানটির টঙ্গীর ধউরে অবস্থিত ফ্যাক্টরিতে গিয়েও একই ধরনের অনিয়ম পাওয়া গেছে। সেখানে ভ্যাট চালান ছাড়াই মিষ্টি সরবরাহ করার তথ্য মিলেছে।
ঢাকা শহরে ননী সুইটসের পাঁচটি শাখা রয়েছে।
আইন অনুযায়ী যেসব দোকান ইএফডি বসানো হয়েছে, সেগুলোতে ক্রেতাকে ইএফডিতে বিক্রয় রসিদ দেয়া বাধ্যতামূলক।
ইএফডিতে ভ্যাট চালান দিলে তা এনবিআরের সেন্ট্রাল সার্ভারে রেকর্ড হয়ে যায় এবং তা মাসিক ভ্যাট হিসাবের জন্য নির্ধারিত হয়। এই প্রক্রিয়ায় ভ্যাট ফাঁকি দেয়ার সুযোগ নেই।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেন, ননী সুইটসে ইএফডি বসানোর পরও তা ব্যবহার না করাটা ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল এবং ভ্যাট আইন অনুযায়ী তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
ড. মইনুল খান বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের করপোরেট শাখা এবং ডাচবাংলা ব্যাংক, উত্তরা সোনারগাঁও জনপথ রোড শাখায় হিসাব বিবরণী তলব করা হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দ্রুতই মামলা দায়েরসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’