বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

র‍্যাব সদর দপ্তরে ইমনকে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ

  •    
  • ৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৮:৩২

ফেসবুকে একটি টেলিফোনালাপ ভাইরাল হয়েছে। বলা হচ্ছে, এটি মুরাদের। সেখানে শোনা যায়, তিনি একজনকে ফোন করে এক চিত্রনায়িকাকে তার কাছে নিয়ে যেতে বলেন। ইমন নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন, মুরাদ তাকেই ফোন করেছিলেন। তবে সেই রাতে মাহিকে নিয়ে তিনি পদ হারানো প্রতিমন্ত্রীর কাছে যাননি।

পদত্যাগ করা প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের সঙ্গে একটি ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় চিত্রনায়ক মামুনুল হাসান ইমনকে র‍্যাব সদর দপ্তরে ডেকে নিয়ে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

বিষয়টি নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপ ফাঁসের ঘটনায় চিত্রনায়ক ইমনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‍্যাব সদর দপ্তরে ডেকে আনা হয়। অডিওটি কিভাবে ফাঁস হলো তা নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।’

তবে জিজ্ঞাসাবাদে ইমন কী বলেছেন সে সম্পর্কে কিছু জানাননি র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার রাত ১১টা ১৫ মিনিটে কুর্মিটোলায় র‍্যাব সদর দপ্তর থেকে বের হয়ে যান ইমন। এর আগে বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে র‍্যাব সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়, অডিও ফাঁস সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে ইমন র‍্যাব সদর দপ্তরে রয়েছেন।

সম্প্রতি একটি অনলাইন টক-শোতে এসে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন সদ্য পদত্যাগী তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান।

এ নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যেই ফেসবুকে একটি টেলিফোনালাপ ভাইরাল হয়েছে। বলা হচ্ছে, এটি মুরাদের। সেখানে শোনা যায়, তিনি একজনকে ফোন করে এক চিত্রনায়িকাকে তার কাছে নিয়ে যেতে বলেন। এই কথোপকথনে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তা নিয়ে তুমুল সমালোচনা হচ্ছে।

ইমন নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন, মুরাদ তাকেই ফোন করেছিলেন। তবে সেই রাতে মাহিকে নিয়ে তিনি পদ হারানো প্রতিমন্ত্রীর কাছে যাননি।

সেই ফোনালাপ ২০২০ সালের ঘটনা জানিয়ে ইমন সোমবার বলেন, ‘এমন কেউ (প্রতিমন্ত্রী) ফোন করলে আর কী করার থাকে। তারপরও আপনারা শুনে থাকবেন, আমি ফোন ধরছিলাম না। দেরি করে ফোন ধরেছি। এটা অনেক কিছুর ইঙ্গিত করে।’

মাহির সঙ্গে প্রতিমন্ত্রীর কী ধরনের কথা হয়েছে তা জানতেন না বলে দাবি করেন ইমন। ফোনালাপের একপর্যায়ে ইমনকে বলতে শোনা যায়, হোটেল সোনারগাঁয় যেতে তিনি দুই মিনিটের মধ্যে নিচে নামছেন। অন্যদিকে, প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে মাহি ‘ওকে’ বলেন।

মাহিকে প্রতিমন্ত্রীর কাছে ইমন নিয়ে যাচ্ছেন, এমন একটি ইঙ্গিত ছিল ফোনালাপের শেষ দিকে।

তবে তা অস্বীকার করে ইমন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা আপনি বা আপনারা ভালো করেই জানেন যে আমি কোনো ঝামেলার মধ্যে নেই। আর এমন একটি কাজ আমি কীভাবে করব!’

পরে এ নিয়ে কোনো ‘সমস্যা’ হয়নি বলেও নিউজবাংলাকে জানান ইমন।

এ বিভাগের আরো খবর