বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরাজিত প্রার্থীর ছেলের হামলায় হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধা

  •    
  • ৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৭:১৬

বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাতুব্বর বলেন, ‘নির্বাচনে ইসমাইল হোসেনের পক্ষে কাজ না করায় তার ছেলে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এর আগেও আমার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। এ সময় আমার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে অস্ত্রের মুখে ফেলে মৃত্যুর হুমকি দেয় তারা। গতকালও তারা আমার ওপর হামলা চালায়।’

মাদারীপুরের সদরে তৃতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর ছেলের বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। পরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে সদর থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেছেন ওই ব্যক্তির ছেলে মাহমুদুল হাসান।

আহত সুলতান মাতুব্বরের দাবি, নির্বাচনের সময় ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করায় তার ওপর এ হামলা চালানো হয়েছে।

অভিযুক্ত বেলায়েত হোসেন সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইসমাইল হোসেনের ছেলে।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাতুব্বর কুনিয়ার ত্রিভাগদি বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইসমাইল হোসেনের ছেলে বেলায়েত হোসেন ও কয়েকজন সহযোগী মিলে তাকে লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে পালিয়ে যান। পরে তার চিৎকারে শুনে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে সুলতান মাতুব্বরের ছেলে মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে বেলায়েত হোসেনসহ ৮ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।

নিউজবাংলাকে সুলতান মাতুব্বর বলেন, ‘নির্বাচনে ইসমাইল হোসেনের পক্ষে কাজ না করায় তার ছেলে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এর আগেও আমার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। এ সময় আমার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে অস্ত্রের মুখে ফেলে মৃত্যুর হুমকি দেয় তারা। গতকালও তারা আমার ওপর হামলা চালায়।’

আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, যেকোনো সময় ইসমাইল হোসেনের লোকজন আমাদের মেরে ফেলতে পারে। তাই আমরা আইনের সহযোগিতা নিয়েছি।’

অভিযোগের বিষয় বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। জানা গেছে, তিনি এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন।

পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাকে কে বা কারা মেরেছে, তা জানি না। এখন সে শত্রুতার বসে আমাদের জড়িয়েছে। আমরা ওই ঘটনার সাথে কোনভাবেই জড়িত না। আমি বিষয়টি জানি না।’

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মিঞা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সদর হাসপাতালে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আহমেদ মাতুব্বরকে দেখে তার দেয়া অভিযোগ অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

‘মুক্তিযোদ্ধার ছেলে বাদী হয়ে থানায় মামলা দিয়েছেন। আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।’

এ বিভাগের আরো খবর