বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৯০ দিনের মধ্যে তিতাস দখলকারীদের তালিকা চায় হাইকোর্ট

  •    
  • ৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৪:৪৬

আইনজীবী এ কিউ এম সোহেল রানা বলেন, ‘তিতাস নদী দখল নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা ব্যবস্থা নিতে আইনি নোটিশ দিই। কিন্তু নোটিশের কোনো জবাব না পাওয়ায় আমরা হাইকোর্টে রিট করি। আদালত আমাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে রুলসহ আদেশ দেন।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদী দখলকারীদের তালিকা দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে এ তালিকা দিতে বলেছে আদালত।

একই সঙ্গে অবৈধ দখল, দূষণ রোধ এবং সীমানা নির্ধারণের বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।

মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশ দিয়েছে।

তিতাস নদী দখলমুক্ত করতে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ কিউ এম সোহেল রানা।

রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন, তাকে সহযোগিতা করেন মুহাম্মদ রেজাউল করিম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।

আইনজীবী এ কিউ এম সোহেল রানা বলেন, ‘তিতাস নদী দখল নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা ব্যবস্থা নিতে আইনি নোটিশ দিই। কিন্তু নোটিশের কোনো জবাব না পাওয়ায় আমরা হাইকোর্টে রিট করি। আদালত আমাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে রুলসহ আদেশ দেন।’

আদালত আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ভূমিসচিব, পরিবেশসচিব, পানিসচিব, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পানি উন্নয়নের বোর্ডের মহাপরিচালক, ভূমি রেকর্ড ও জরিপের মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার,

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

‘ডুবোচর আবর্জনায় জীর্ণশীর্ণ তিতাস’ শিরোনামে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমেও প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। পত্রিকার সেসব প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ৩০ নভেম্বর রিট করা হয়।

পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাবেষ্টিত হয়ে আছে তিতাস নদী। এ নদীকে কেন্দ্র করে শহরের অন্যতম বৃহৎ হাট আনন্দবাজার ও জগৎবাজার গড়ে উঠেছিল।

এ নদীর ডুবোচর জেগে ওঠা, দখল আর আবর্জনায় নাব্য হারিয়ে তিতাস এখন জীর্ণশীর্ণ খালে পরিণত হয়েছে। পলি জমে গত দুই দশকে তিতাসের তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, একসময় লঞ্চের শব্দ আর বড় বড় পালতোলা নৌকার মাঝিমল্লাদের ভাটিয়ালি গানের সুরে ঘুম ভাঙত তিতাসপাড়ের অনেকের। কিন্তু তিন দশকের ব্যবধানে এ নদীর তলদেশে ডুবোচর জেগে উঠেছে। তিতাসের তীরে বিভিন্ন অংশে হয়েছে নির্দয় দখল আর দূষণ। এ কারণে খরস্রোতা নদীটি এখন মরা নদীতে পরিণত হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর