এবি ব্যাংকের ১৭৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা আত্মসাত মামলায় ব্যাংকটির ১৫ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
দুই আসামির জামিন চেয়ে আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেয় উচ্চ আদালত।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন গোলাম আব্বাস দুলাল। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
পরে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয় এবি ব্যাংকের ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে। এই সূত্র ধরে গত ৯ জুন একটি মামলা হয়। ওই মামলায় ১৭ জনকে আসামি করা হয়। এই ১৭ জনের মধ্যে আসামি শহীদুল ইসলাম ও আব্দুর রহিম আগাম জামিনের আবেদন করে। আগাম জামিনের পরে তারা নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। নিম্ন আদালত তাদেরকে জেলে পাঠিয়ে দেয়। এরপর জেল থেকে তারা জামিন চেয়ে নিয়মিত আপিল করেন। আজকে আদালতে শুনানি শেষে দুজনের জামিন প্রশ্নে রুল দেন।’
একই সঙ্গে আগামী সাত দিনের মধ্যে অন্য ১৫ আসামিকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয় আদালত। পাশাপাশি এই ১৫ জন যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
ওই ১৫ আসামি হলেন এরশাদ আলী, এবিএম আব্দুস সাত্তার, আনিসুর রহমান, রুহুল আমিন, ওয়াসিকা আফরোজী, মুফতি মুস্তাফিজুর রহমান, সালমা আক্তার, মোহাম্মদ এমারত হোসেন ফকির, তৌহিদুল ইসলাম, শামীম এ মোরশেদ, খন্দকার রাশেদ আনোয়ার, সিরাজুল ইসলাম, মাহফুজ উল ইসলাম, মশিউর রহমান চৌধুরী, শামীম আহমেদ চৌধুরী।