বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এখনও বাসায় ফেরেননি মুরাদ

  •    
  • ৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ১২:০০

ধানমন্ডি ১৫ নম্বর সড়কে মুরাদ হাসানের বাসায় গিয়ে মঙ্গলবার এ তথ্য জানা গেছে। বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্য ও সিকিউরিটি গার্ডরা জানান, বাসা থেকে বের হওয়ার পর এক দিন পেরিয়ে গেলেও ফেরেননি তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

অনলাইনে বিতর্কিত বক্তব্যের কারণে তুমুল সমালোচনার মধ্যে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পাওয়ার পর কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না মুরাদ হাসানকে। নিউজবাংলা জানতে পেরেছে, ধানমন্ডির বাসা থেকে তিনি সোমবার বেলা ১১টার দিকে বের হন। ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও ফেরেননি।

ধানমন্ডি ১৫ নম্বর সড়কে মুরাদ হাসানের বাসায় গিয়ে মঙ্গলবার এ তথ্য জানা গেছে। বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্য ও সিকিউরিটি গার্ডরা জানান, বাসা থেকে বের হওয়ার পর এক দিন পেরিয়ে গেলেও ফেরেননি তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

সিকিউরিটি গার্ডরা জানান, বাড়ির চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে এক বছর ধরে বসবাস করছেন মুরাদ। একই ভবনের দ্বিতীয় তলায় তার অফিস।

সিকিউরিটি গার্ড সুমন বলেন, ‘স্যার কালকে বের হইছেন, এরপর আর আসেন নাই। কোথায় গেছেন জানি না।’

একই কথা জানান বাড়িতে থাকা পুলিশের একজন সদস্য। তিনি বলেন, ‘রোববার রাতে বাসায় আসেন মুরাদ হাসান। সোমবার বেলা ১১টার দিকে বের হয়েছেন। এখনও ফেরেননি।’

ধানমন্ডির এই ভবনের চতুর্থ তলায় পরিবার নিয়ে থাকেন মুরাদ হাসান। ছবি: নিউজবাংলা

নারীর প্রতি ‘অবমাননাকর’ ও ‘বর্ণবাদী’ মন্তব্য করে আগে থেকেই তীব্র সমালোচনার মধ্যে ছিলেন মুরাদ। এর মধ্যে ফাঁস হওয়া একটি ফোনালাপে এক চিত্রনায়িকাকে ধর্ষণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।

এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবারের মধ্যে তাকে প্রতিমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সাংবাদিকদের সোমবার রাতে তিনি বলেন, ‘আজ সন্ধ্যায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে এবং আমি আজ রাত ৮টায় প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে বার্তাটি পৌঁছে দিই।’

মুরাদের একান্ত সচিব (রাজনৈতিক) জাহিদ নাঈম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তিনি (মুরাদ) পদত্যাগ করবেন শুনেছি। তবে তার সঙ্গে আমার সরাসরি কথা হয়নি। তাই বলতে পারছি না কখন পদত্যাগ করবেন।’

প্রতিমন্ত্রী রোববার গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বললেও সোমবার দিনভর নিজেকে আড়াল করে রাখেন। রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে তার যোগ দেয়ার কথা থাকলেও তিনি তাতে যাননি।

তিন দিন আগে একটি অনলাইন টকশোয় এসে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য দেন।

এ নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যেই ফেসবুকে একটি টেলিফোনালাপ ভাইরাল হয়। বলা হচ্ছে, এটি মুরাদের। সেখানে শোনা যায়, তিনি একজনকে ফোন করে এক চিত্রনায়িকাকে তার কাছে যেতে বলেন। এই কথোপকথনে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তা নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়।

মুরাদকে বরখাস্তের দাবি জানান ৪০ জন নারী অধিকারকর্মী। বিএনপির পক্ষ থেকেও প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করা হয়। বলা হয়েছে, মুরাদের ভাষা সভ্য নয়।

অনলাইন সাক্ষাৎকার প্রকাশ হওয়ার পর প্রতিমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেছেন, তিনি যা বলেছেন, তার জন্য দুঃখিত নন। বক্তব্য প্রত্যাহার করবেন না। আর সমালোচনা তিনি গায়ে মাখেন না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দুপুরে মুরাদ ইস্যুতে কথা বলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বিষয়ে কথা বলবেন- এমনটিও জানিয়েছেন। বলেছেন, প্রতিমন্ত্রী যা বলেছেন, সেটি তার ব্যক্তিগত বক্তব্য।

বিএনপিও প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে। পাশাপাশি ছাত্রলীগের নারী নেত্রীরাও বলছেন, মুরাদের মতো একজন নেতা মন্ত্রিসভায় থাকতে পারেন না।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা তার কথা ও আচরণে বিব্রত ও লজ্জিত।’

মুরাদ জামালপুরের সরিষাবাড়ী থেকে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে তার আসনটি জোটের শরিক জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে একাদশ সংসদ নির্বাচনে আবার তাকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ।

নির্বাচনের পর মুরাদকে প্রথমে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী করা হয়। একটি বেসরকারি হাসপাতালে আচরণ নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর তাকে তথ্য প্রতিমন্ত্রী করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর