প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে শিগগিরই সংসদে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
জাতীয় সংসদের শপথকক্ষে সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং আয়োজিত ‘২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন' শিরোনামে জাতীয় সেমিনারে তিনি এ কথা জানান।
সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাতের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান ও জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের পরিচালক কাজী জেবুন্নেছা বেগম।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পড়েন ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নে সবাইকে কাজ করতে হবে। তামাক থেকে আমরা যে রেভিনিউ পাই, তার চেয়েও অনেক বেশি ব্যয় হয় চিকিৎসা খাতে। তাই তামাক মুক্তির কোনো বিকল্প নেই। তবে এক দিনে এগুলো বন্ধ করার উপায় নেই।
‘অনেকের মতে, তামাকসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অনেক শক্তিশালী। তবে তারা সরকারের চেয়ে শক্তিশালী নয়। এরই মধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা তামাকের ব্যবহার অনেকটা কমিয়ে আনতে পেরেছি। আরও কমাতে হবে। আমরা খুব দ্রুত আপনাদের প্রস্তাবনা অনুযায়ী আইনটি সংশোধন করে সংসদে আনব। সংসদ সদস্যদের মাধ্যমেই তা পাস হবে।’
দেশকে তামাকমুক্ত করতে সেমিনারে পার্লামেন্টারি ফোরামের পক্ষ থেকে ৭টি প্রস্তাবনা দেয়া হয়।
এর মধ্যে রয়েছে পাবলিক প্লেস, পাবলিক ট্রান্সপোর্টসহ ধূমপানের জন্য সব নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত, বিক্রয়স্থলেও তামাকজাত পণ্য প্রদর্শন বন্ধ, তামাক কোম্পানির সব স্পন্সরশিপ ও করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ, তামাকজাত পণ্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৯০ শতাংশের বেশি রাখা, খুচরা ও কমসংখ্যক সিগারেট বা বিড়ি বিক্রি বন্ধ করা, ই-সিগারেটসহ সব ধরনের হিটেড টোব্যাকো বিক্রি ও আমদানি বন্ধ এবং ১৯৫৬ সালের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে তামাকপণ্যকে তালিকা থেকে বাদ দেয়া।