নারীর প্রতি ‘অবমাননাকর’ ও ‘বর্ণবাদী’ মন্তব্য করায় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের কুশপুতুল দাহ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। একই সঙ্গে তারা মুরাদ হাসানকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।
সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এই কুশপুতুল পোড়ানো হয়।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী মুরাদের কুশপুতুল নিয়ে জুতা মিছিল করেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা থেকে শুরু হয়ে শামসুন নাহার হলের পাশ দিয়ে রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়।
মিছিল শেষে মুরাদের কুশপুতুলে জুতা ছুড়ে মারেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। এ সময় তারা ‘মুরাদের চামড়া, তুলে নিব আমরা’, ‘মুরাদের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’, ‘ম তে মুরাদ, তুই ধর্ষক তুই ধর্ষক’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
ছাত্র অধিকার পরিষদ সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীবের নেতৃত্বে এতে অংশ নেন পরিষদের কেন্দ্রীয় ও ঢাবি শাখার অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী।
বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, 'প্রতিমন্ত্রী মুরাদকে অনেকে বলে থাকেন পাগল। কিন্তু তিনি পাগল বা উন্মাদ নন। তিনি জাতে মাতাল তালে ঠিক। ধর্ম নিয়ে শুরু করে তিনি নারী সম্পর্কে ধারাবাহিকভাবে কুরুচিকর বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। ছাত্র অধিকার পরিষদ এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।'
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি এই লাগামহীন বলদকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসুন। অন্যথায় আমরা ছাত্রসমাজের প্রতি আহ্বান জানাব- আপনারা তাকে (মুরাদ হাসান) যেখানে পাবেন সেখানে গণধোলাই দেবেন।’
ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক নুসরাত তাবাসসুম বলেন, ‘আমরা দেখেছি দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে তার কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য। এটা শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়, বাংলাদেশের সব মেয়ের জন্য অপমানজনক।
‘এখন কেন ডিজিটাল আইনের প্রয়োগ দেখি না। কেন তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বিচার হবে না। তাকে বিচারের আওতায় আনা না হলে আমরা নারী শিক্ষার্থীরা সারা দেশে আন্দোলন শুরু করব।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদকে পদত্যাগ করতে বলেছেন জানালে ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাবি শাখার দপ্তর সম্পাদক সালেহ উদ্দিন সিফাত বলেন, ‘তাকে অপসারণ করলেই হবে না। তিনি যে মন্তব্য করেছেন তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’