শুল্কমুক্ত সুবিধা অপব্যবহারের মাধ্যমে রাজধানীর লালবাগে একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ২৭৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকির তথ্য পাওয়া গেছে।
এই অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সোমবার মামলা করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভ্যাট কর্মকর্তারা জানান, রাজধানীর পুরান ঢাকার লালবাগে নাহিদ এন্টারপ্রাইজ বন্ড লাইসেন্সের আওতায় শুল্কমুক্ত পণ্য এনে খোলা বাজারে বিক্রি করে দীর্ঘ সময় ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে আসছে।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে, গোয়েন্দা কর্মকর্তারা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালে ২০১৫ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
অনুসন্ধানে দেখা যায় যে, মেসার্স নাহিদ এন্টারপ্রাইজ ভ্যাট চালান ছাড়া সেবা, যথাযথ রাজস্ব পরিশোধ না করা ও প্রকৃত বিক্রয় তথ্য গোপন করে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সরকারের আর্থিক ক্ষতি করেছে।
তদন্ত দেখা যায়, পাঁচ বছর প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট রিটার্নে বিক্রয়মূল্য দেখিয়েছে ২৯১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। কিন্তু জব্দকৃত দলিলাদি পরীক্ষা করে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটির প্রকৃত বিক্রয়মূল্য ১ হাজার ৫৪০ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে ভ্যাট আরোপযোগ্য বিক্রয়মূল্য ১ হাজার ৩৩৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি ১ হাজার ৪৭ কোটি টাকা সমপরিমাণ প্রকৃত বিক্রয়মূল্য গোপন করেছে।
বিক্রয়মূল্য কম দেখানোয় সরকার প্রাপ্য রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে ১৫৭ কোটি ১২ লাখ টাকা।
সময়মতো পরিশোধ না করায় ২ শতাংশ জরিমানাসহ অতিরিক্ত ভ্যাট আসে ১১৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
সব মিলে সুদসহ মোট ভ্যাট ফাঁকির পরিমাণ ২৭৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা।