বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘জয়িতার পণ্য বাজারজাত করাটা হবে মূল কাজ’

  •    
  • ৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ২১:২৭

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে দেশের প্রতিটি জেলায় জয়িতার শাখা থাকবে। এর মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা জয়িতা নারীদের পণ্য সংগ্রহ করে সেগুলো বাজারজাত করা সম্ভব হবে। এতে নিম্ন আয়ের নারীদের আয়ের ব্যবস্থাও হবে।’

জয়িতা ফাউন্ডেশন যেসব পণ্য উৎপাদন করছে সেগুলো হবে বিশ্বমানের। একইসঙ্গে সেগুলো সঠিকভাবে বাজারজাতকরণে ব্যবস্থা নিতে হবে। এটাই মূল কাজ।

সোমবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে জয়িতা ফাউন্ডেশনের এক অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান একথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব সায়েদুল ইসলাম ও সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী রওশন আক্তার। স্বাগত বক্তব্য দেন জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থাটির ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে সোমবার।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘জয়িতা ফাউন্ডেশন যে বিভিন্ন সামগ্রী উৎপাদন করছে তা হবে জাতীয় মানের, বিশ্বমানের। জয়িতার পণ্যগুলোর মানোন্নয়ন করে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে বাজারজাত করাটা হলো মূল কাজ।

‘জয়িতা টাওয়ার নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে দেশের প্রতিটি জেলায় জয়িতার শাখা থাকবে। এর মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জয়িতা নারীদের পণ্য সংগ্রহ করে সেগুলো বাজারজাত করা সম্ভব হবে। এতে নিম্ন আয়ের নারীদের আয়ের ব্যবস্থাও হবে।’

জয়িতা ফাউন্ডেশন গত ১০ বছরের চেয়ে আরও বেশি শক্তি নিয়ে জাতীয় জীবনে ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

এম এ মান্নান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজের কিছু রাজনৈতিক দর্শন রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম নারীর ক্ষমতায়ন। বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থেই এটা প্রয়োজন। এখানে নানা কারণে আমরা পিছিয়ে ছিলাম। তবে এ সরকারের দায়িত্ব কাজ করার সুযোগ করে দেয়া। বাংলাদেশের মানুষ একটা চমৎকার সময়ের মাঝখান দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের নানা ক্ষেত্রে পরিবর্তন দৃশ্যমান। এটা হয়েছে স্বাধীনতার কারণে। তাই আমরা স্বাধীনতার স্থপতিদের বার বার স্মরণ করবো।’

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘নারীদের কাজের জায়গার অভাব রয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী জয়িতা ফাউন্ডেশন গঠন করেন। উদ্দেশ্য, নতুন নারী উদ্যোক্তা তৈরি করা। গ্রামের নারীরা যাতে তাদের তৈরি করা পণ্য সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পারে, এমনকি বিদেশেও যায় সেজন্য জয়িতাকে অত্যন্ত আধুনিক করে গঠন করা হয়েছে। নারীদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলে তাদের সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে আসতে এ ফাউন্ডেশনকে আরো উদ্যোগী হতে হবে। গ্রামের সাধারণ মেয়েদের কিভাবে আরও বেশি প্রশিক্ষণ দেয়া যায় তা দেখতে হবে।’

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, ‘নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ সপ্তম। দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী, স্পিকার নারী, বিরোধী দলের নেতা নারী, সংসদ উপনেতাও নারী। নারীরা আজ বিচারক, সচিব, মেজর জেনারেল। বিমান, নৌ ও সেনাবাহিনীতে নারী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ ডিসেম্বর ‘জয়িতা টাওয়ার’ নির্মাণের ভিত্তি স্থাপন করেছেন। এটি হবে নারী উদ্যোক্তাদের স্থায়ী ঠিকানা। ১২তলাবিশিষ্ট জয়িতা টাওয়ারের অবকাঠামোগত সুবিধা নারী উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়াবে।’

১০ বছর পূর্তির এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে অর্ধশতাাধিক স্টলে ৩৫ জয়িতা নারী উদ্যোক্তার তৈরি পোশাক ও খাদ্যপণ্য প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া জয়িতাদের তৈরি পোশাক নিয়ে ফ্যাশন শো’র আয়োজন করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর