নিরাপদ সড়ক ও সারা দেশে শিক্ষার্থীদের জন্য শর্তহীন হাফ পাস কার্যকরসহ ৯ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রাজধানীতে সোমবার সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালনের সময় প্রতিবাদী গান গেয়ে বিক্ষোভ করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, সড়ক ব্যবস্থাপনায় ‘আলোর পথ’ দেখাতেই মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচি।
৯ দফা দাবি বাস্তবায়নে মঙ্গলবার ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। রোববার শাহবাগে প্রতীকী কফিন নিয়ে মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়।
সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের পরিবার নিয়ে শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ইনজামুল হক রামিম বলেন, ‘বাসে শিক্ষার্থীদের হাফ পাসের দাবিতে ৮ নভেম্বর আন্দোলন শুরু হয়েছিল। ২৩ তারিখে তা নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে দানা বাঁধে। আমরা ৯ দফা দাবি জানিয়েছি। মন্ত্রীরা আমাদের আন্দোলন নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করছেন।
‘৯ দফা বাস্তবায়ন না হলে আমরা প্রয়োজনে অনশনে যাব। বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা ঢাকার রামপুরা, বরিশাল ও চট্টগ্রামে আন্দোলন করেছেন। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যেতে প্রস্তুত।’
শিক্ষার্থীরা জানান, সড়ক, নৌ এবং রেলপথে হাফ পাস দাবি করা হয়েছে। শুধু সড়কে শর্তসাপেক্ষে যে হাফ পাস দেয়ার কথা বলা হচ্ছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। সব গণপরিবহনে শর্তহীন হাফ পাস দিতে হবে। এ ছাড়া নৌ এবং রেলপথে হাফ পাসের ব্যবস্থা করতে হবে।
আন্দোলনকারীদের আরেক সমন্বয়ক মহিদুল হাসান দাউদ বলেন, ‘শর্তসাপেক্ষে শুধু মহানগরে হাফ পাস নয়, সারা দেশে শর্তহীন হাফ পাসের প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। ৯ দফা দাবির বিষয়ে সরকারের স্পষ্ট অবস্থান জানাতে হবে। অন্যথায় আমাদের আন্দোলন চলবে।’
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো ড্রাইভারকে ফাঁসি দিতে হবে এবং এই বিধান সংবিধানে সংযোজন করতে হবে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে হবে। বৈধ লাইসেন্স ছাড়া চালকরা গাড়ি চালাতে পারবেন না। বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নেয়া যাবে না।
শিক্ষার্থীদের চলাচলে ফুটওভারব্রিজ বা বিকল্প নিরাপদ ব্যবস্থা করা ও সড়কে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় স্পিডব্রেকার দিতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্রছাত্রীদের দায়ভার সরকারকে নিতে হবে। শিক্ষার্থীরা সিগন্যাল দিলেই বাস থামিয়ে তাদের নিতে হবে বলেও দাবি করেন আন্দোলনকারীরা।