বরিশালের গৌরনদীতে বিস্ফোরক আইনে মামলার প্রধান আসামি ও বোমা বিস্ফোরণে দুই হাত বিচ্ছিন্ন হওয়া হারুন হাওলাদার মারা গেছেন।
ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে সোমবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন হারুনের বোন নাছিমা বেগম।
বিকেল সোয়া ৪টার দিকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন।
হারুনের বাড়ি উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের বেজগাতী গ্রামে।
এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর মধ্যরাতে বার্থী ইউনিয়নের দক্ষিণ মাদ্রা এলাকার ফারিহা পার্কের পশ্চিম পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, বোমা তৈরির সময় এ বিস্ফোরণ হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এর তথ্য-প্রমাণ পায়। তবে পুলিশ সেখানে যাওয়ার আগেই গুরুতর আহত হারুন হাওলাদারসহ তিনজনকে সরিয়ে নেয়া হয়। পরে পুলিশ আহতদের সন্ধানে শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে গেলে সেখান থেকেও সহযোগীরা হারুনকে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ৫ ডিসেম্বর ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও তিন-চারজনকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন গৌরনদী মডেল থানার এসআই মো. ইমাম হোসেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘মামলার আসামি আব্দুর রহমান মীরকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
‘এরই মধ্যে মামলার অন্যতম আসামি হারুন হাওলাদার মারা গেছেন। তবে এতে মামলা ও তদন্ত কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
গ্রেপ্তার আব্দুর রহমান গৌরনদী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ফরহাদ মুন্সীর মালিকানাধীন ফারিয়া গার্ডেন পার্কের নিরাপত্তাকর্মী।
এ ঘটনায় ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ফরহাদ মুন্সী জানান, তিনি ঘটনার দিন ছেলের জন্মদিন পালনে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। আর যেটুকু জেনেছেন, বিস্ফোরণের ঘটনা তার পার্কে ঘটেনি। পার্কের বাইরে একটি পরিত্যক্ত ঘরে ঘটেছে। এ ছাড়া তিনি জানতে পেরেছেন, নিরাপত্তাকর্মীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মাঝরাতে কয়েকজন লোক তার পার্কে ঢুকেছিল।