বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকায় টানা বৃষ্টিতে ভাঙল ৫০ বছরের রেকর্ড

  •    
  • ৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ২০:২৩

আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সোমবার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকায় মোট ৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামীকাল সকাল থেকেই বৃষ্টি কমে আসবে। তবে আকাশ মেঘলা থাকবে।’

ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’-এর প্রভাবে সোমবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয় বৃষ্টি। তা চলেছে বিরামহীন। এদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় ৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ডিসেম্বর মাসে রাজধানীতে একদিনে বৃষ্টিপাতের এই পরিমাণ গত ৫০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। আগেরদিন রোববার রাজধানীতে ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়, তা ছিল একই সময়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।

নভেম্বর মাসে রাজধানী ঢাকায় সাধারণত যে পরিমাণ বৃষ্টি হয় এবার তা হয়নি। আবার ডিসেম্বরে এসে বিপরীত চিত্র। সোমবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এটা গত ৫০ বছরের মধ্যে ডিসেম্বরে একদিনে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টির রেকর্ড।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বর মাসে এর আগে কাছাকাছি মাত্রায় বৃষ্টি হয়েছিল ২০১০ সালের ৯ ডিসেম্বর, ৬১ মিলিমিটার। এর আগে ১৯৭৩ সালের ৮ ও ৯ ডিসেম্বর ৪৪ ও ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। আর ডিসেম্বর মাসে সারাদেশের হিসাবে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের রেকর্ড রয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফে। ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর দেশের সর্বদক্ষিণের এই জনপদে বৃষ্টি হয়েছিল ১৫৪ মিলিমিটার।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজ ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকায় মোট ৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামীকাল সকাল থেকেই বৃষ্টি কমে আসবে। তবে আকাশ মেঘলা থাকবে।’

রোববার মধ্যরাত থেকেই রাজধানীতে বৃষ্টির প্রভাব বাড়তে থাকে। এই বৃষ্টি সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অনেকটা বিরামহীন চলতে থাকে। বৃষ্টির কারণে রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা ছিল তুলনামূলক অনেক কম। এতে অফিসগামী ও শিক্ষার্থীদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে।

রাজধানীর বেশ কিছু এলাকার রাস্তায় পানি জমে যাওয়ায় যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। রাস্তায় গণপরিবহন কম থাকায় রিকশাচালকরাও হাঁকেন অতিরিক্ত ভাড়া। চরম দুর্ভোগে পড়েন ঘর থেকে বের হওয়া সাধারণ মানুষজন।

এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছিল, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে লঘুচাপ আকারে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সন্ধ্যায় লঘুচাপে পরিণত হতে পারে।

লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর