বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে ২ নম্বর বয়া এলাকায় বেলজিয়ামের একটি সার্ভে জাহাজ ডুবে গেছে।
জাহাজে থাকা ১২ জন ক্রুকে জীবিত উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে পায়রা বন্দর কোস্ট গার্ড। তাদের মধ্যে ১০ জন ইন্দোনেশিয়ান ও দুজন বাংলাদেশি।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পায়রা বন্দরের কোস্ট গার্ডের মেরিন হারবার মাস্টার মো. শরীফ।
ইন্দোনেশিয়ান ক্রুরা হলেন মাস্টার আরহাম আব্দুল রহিম, চিফ অফিসার মোচামাদ রিজাল, সেকেন্ড অফিসার দারমাওয়ান, চিফ ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ নুর, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার ট্রাই ইয়ান্টো, অয়েলার রহমত ফাদিল্লা, এবি অডি খ্রিস্টিয়ান, এবি রুদি রহমান, অয়েলার মুহাম্মদ আগাম ফায়েজ জুলফা, কুক জোজুয়া এনজেলবার্ট, সার্ভেয়ার সাইদুজ্জামান ইমন ও এমডি সোহানুজ্জামান সুমন।
মেরিন হারবার মাস্টার মো. শরীফ বলেন, কেন, কীভাবে এবং কী কারণে জাহাজটি ডুবল তা জানতে তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তবে এই টিমে কারা আছেন এবং প্রতিবেদন জমা দিতে কত দিন সময় দেয়া হয়েছে তা তিনি পরিষ্কার করেননি।
তিনি জানান, সোমবার সকাল ৭টার দিকে তাদের কাছে খবর আসে, এদিন ভোর ৪টার দিকে পায়রা বন্দরের ফেয়ারওয়ে ২ নম্বর বয়া এলাকায় জাহাজ ডুবে গেছে। উদ্ধারে গিয়ে একটি ফিশিং বোর্ড ও ডুবে যাওয়া জাহাজের টাক বোর্ডে ভাসমান অবস্থায় ১২ জনকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়।
মাস্টার মো. শরীফ বলেন, বেলজিয়ামের জান ডি নুল কোম্পানির একটি জাহাজ এক বছর ধরে পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ মোহনায় ড্রেজিংয়ের সার্ভে করছিল। গতকাল রোববার দিনভর তারা সার্ভে করে পায়রা বন্দরে ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
তিনি জানান, ইন্দোনেশিয়ান ক্রুদের মধ্যে ৮ জনকে কুয়াকাটার একটি হোটেলে রাখা হয়েছে। বাকি দুজন বন্দরের নিজস্ব মেডিক্যাল টিমের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ছাড়া অপর দুজন বাংলাদেশি ক্রু যারা বর্তমানে পায়রা বন্দরে অবস্থান করছেন।
তিনি জানান, জাহাজডুবির কারণ জানতে মাস্টার ও কেবিন ক্রুর সঙ্গে কথা বলার অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তারা অসুস্থ থাকায় তা জানা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।