এইচএসসি পরীক্ষার তৃতীয় দিনে দেশের ৯টি শিক্ষা বোর্ডে সাড়ে চার হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এ ছাড়া এদিন পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে সকালের শিফটের পরীক্ষায় কুমিল্লা, যশোর ও দিনাজপুর বোর্ডের তিন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সকালের পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল ৪ হাজার ৫৭৩ জন। বিকেলের পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল ছয়জন। দুই শিফটে মোট অনুপস্থিত ছিল ৪ হাজার ৫৭৯ শিক্ষার্থী।
সকালে এইচএসসির পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে অনুপস্থিত ছিল ১ হাজার ৮১৭ জন, রাজশাহী বোর্ডে ৭০৭ , কুমিল্লা বোর্ডে ৩৩০ ও যশোর বোর্ডে ৩১৭ জন।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম বোর্ডে অনুপস্থিত ছিল ২২৭ জন, সিলেট বোর্ডে ১৫২, বরিশাল বোর্ডে ২২৯, দিনাজপুর বোর্ডে ৫৮৭ ও ময়মনসিংহ বোর্ডে ২০৭ জন।
বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় সাধারণ বিজ্ঞান এবং খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র, খাদ্য ও পুষ্টি দ্বিতীয় পত্র এবং লঘু সংগীত (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা। এতে রাজশাহী বোর্ডে অনুপস্থিত ছিল ৩ জন, বরিশাল বোর্ডে ১ ও দিনাজপুর বোর্ডে ২ জন।
সাধারণত প্রতি বছরের এপ্রিলে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হলেও এ বছর করোনা মহামারির কারণে এই পাবলিক পরীক্ষা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নেয়ার ঘোষণা দেয় সরকার।
এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিতে নিবন্ধন করেছে ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯০ শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ২৯ হাজার ৭৩৮ জন এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৯৫২ জন।
সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করেছে ১১ লাখ ৩৮ হাজার ১৭ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ৫ লাখ ৬৩ হাজার ১১৩ জন এবং ছাত্রী ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৯০৪ জন।
মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমের জন্য নিবন্ধন করেছে ১ লাখ ১৩ হাজার ১৪৪ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ৬১ হাজার ৭৩৮ জন এবং ছাত্রী ৫১ হাজার ৪০৬ জন।
এইচএসসি (বিএম/ভোকেশনাল) পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করেছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫২৯ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৪ হাজার ৮২৭ জন এবং ছাত্রী ৪৩ হাজার ৬৪২ জন।
দেশে ৯ হাজার ১৮৩টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ২ হাজার ৬২১টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। দেড় বছর পর ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।