বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বৈরাচারের উত্থান এরশাদ পতনের পর: জাতীয় পার্টি

  •    
  • ৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৯:২৯

‘এখন রাস্তায় নেমেই কেউ স্লোগান দিতে পারে না, স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক। এ থেকেই বোঝা যায় দেশের মানুষ কতটা গণতন্ত্র ভোগ করছে।’

সামরিক সেনাশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময়কার স্লোগান ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’কে দুর্ভাগ্যজনক বলেছেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতির ছোট ভাই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তার দাবি, ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদের পতনের পরই স্বৈরাচারের উত্থান হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরেও আমাদের বলতে হচ্ছে, স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক। এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর হতে পারে না।’

গণ-অভ্যুত্থানে এরশাদ সরকারের পতনের ৩১তম বার্ষিকীতে সোমবার বনানীতে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক আলোচনায় বক্তব্য রাখছিলেন জাপা নেতা। দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো দিবসটিকে ‘স্বৈরাচার পতন দিবস’ হিসেবে পালন করলে জাতীয় পার্টি এটি পালন করে ‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’ হিসেবে। দলটির দাবি, এরশাদ সেদিন পদত্যাগ করে সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছিলেন।

জি এম কাদের বলেন, ‘কিছু মানুষ অন্যায়ভাবে পল্লিবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে স্বৈরাচার বলেন। কিন্তু কেন স্বৈরাচার বলেন তার উত্তর দিতে পারেন না। পল্লিবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চেয়ে ছোট স্বৈরাচার কে?’

এরশাদ সংবিধান মেনে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন বলে দাবি করে তার ভাই বলেন, ‘১৯৮২ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধান দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ হয়ে সামরিক বাহিনীর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন। আবার ১৯৯০ সালে সংবিধান সমুন্নত রেখে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সংবিধানিক নিয়মনীতি মেনেই ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন।’

জি এম কাদেরের দাবি, তার ভাই ক্ষমতা হস্তান্তরের পর থেকেই স্বৈরাচারের উত্থান হয় আর গণতন্ত্র নিপাত যেতে শুরু করে।

এরশাদ সরকারের আমলের চেয়ে বর্তমান শাসন আরও কঠোর বলে মনে করেন তিনি। বলেন, ‘এখন রাস্তায় নেমেই কেউ স্লোগান দিতে পারন না, স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক। এ থেকেই বোঝা যায় দেশের মানুষ কতটা গণতন্ত্র ভোগ করছে।’

দেশে সাংবিধানিকভাবেই একনায়কতন্ত্র চলছে- এই বিষয়টি বেশ কয়েক দিন ধরেই বলছেন জি এম কাদের। সেটি আবার উল্লেখ করে বলেন, ‘একটি দলের প্রধান সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকারপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দেশের নির্বাহী বিভাগের প্রধান হন তিনি। আবার সরকারপ্রধানের সিদ্ধান্তের বাইরে দলীয় সংসদ সদস্যরা ভোট দিতে পারে না, তাই সরকারপ্রধান যা বলেন তার বাইরে কিছুই হতে পারে না।

‘এতে আইন সভা সরকারপ্রধানের অধীনে। অপর দিকে বিচার বিভাগ রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে শতকরা ৯৫ ভাগই সরকারপ্রধানের অধীনে। তাই রাষ্ট্রে প্রধান তিনটি বিভাগ এক ব্যক্তির অধীনে থাকায় এক ব্যক্তির শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়, যাকে সাংবিধানিক একনায়কতন্ত্র বলা যায়।’

এরশাদ ক্ষমতা হস্তান্তরের পর বিএনপি ও আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় গিয়ে মানুষে মানুষে বৈষম্য তৈরি করেছে বলেও অভিযোগ করেন জি এম কাদের। বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের কর্মী না হলে পরীক্ষায় প্রথম হয়েও কেউ চাকরি পায় না। সরকারি দলের সদস্য না হলে কেউ ব্যবসা করতে পারে না। তেমনিভাবে সরকারি দলের হলে এক ধরনের আইন আর বিরোধীদের জন্য আলাদা আইন।’

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, জহিরুল ইসলাম জহির, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরীফা কাদেরও এ সময় বক্তব্য রাখেন।

এ বিভাগের আরো খবর