তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে ‘নোংরা লোক’ উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, তাকে মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়ে সচিবালয়কে অপবিত্র করা হয়েছে।
অনলাইন টক শোতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের ছেলে জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য রাখার মধ্যে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে আছেন। নারী সংগঠনগুলো তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিও জানিয়েছে। এর মধ্যে ফেসবুকে ফাঁস হওয়া একটি ফোনালাপে প্রতিমন্ত্রীর নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গী নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে।
সোমবার দুপুরে রাজধানীতে ‘স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ স্মরণে এক আলোচনায় বিএনপি নেতারাও মুরাদের তীব্র নিন্দা করলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ফুটপাত থেকে ধরে এনে মন্ত্রী বানিয়েছে। বাংলাদেশের লোক ফুটপাতের মন্ত্রী দেখতে চায় না, বাংলাদেশের লোক চোর-বাটপার দেখতে চায় না, বাংলাদেশের ঘুষখোর লোক মন্ত্রী দেখতে চায় না, বাংলাদেশের লোক তাদের অশ্রাব্য, অকথ্য কথাবার্তা শুনতে চায় না।’
বেগম খালেদা জিয়া ও জাইমা রহমানকে নিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এগুলো সহ্য করা যায় না, এগুলো আমরা সহ্য করব না। এর প্রতিবাদ করতে হবে, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এই সমস্ত নোংরা লোকজনকে মন্ত্রিসভায় স্থান নিয়ে বাংলাদেশের সচিবালয়কে অপবিত্র করা হয়েছে। এগুলো বন্ধ করতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সরকারকে বলতে চাই, এত মারপ্যাঁচ না করে আপনারা সোজাসুজি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দেবেন কি দেবেন না। আমরা সাফ সাফ কথা জানতে চাই, এখনই জানতে চাই। আপনাদের এত কথা শুনতে চাই না। নইলে দেশের জনগণ এই সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশনেত্রীকে মুক্ত করে সুচিকিৎসার জন্য নেবে।'
রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের উদ্যোগে ‘স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সাবেক সামরিক শাসক প্রেসিডেন্ট এইচএম এরশাদ পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে বিএনপি এই দিনকে ‘স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ হিসেবে উদযাপন করে আসছে।
ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি ফজলুল হক মিলনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় নব্বইযের সাবেক ছাত্র নেতার মধ্যে আসাদুজ্জামান রিপন, হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, নাজিম উদ্দিন আলম, জহির উদ্দিন স্বপন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলও বক্তব্য রাখেন।
এই আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সভাস্থলে ব্যাপক হাঙ্গামা হয়।
ফখরুল জানিয়েছিলেন, প্রতিমন্ত্রী মুরাদ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সময় ছাত্রদল করতেন। তখন যুবদলের এক নেতা তার সঙ্গে বাক বিতণ্ডায় পড়িয়ে পড়লে সভাস্থলে হৈ চৈ শুরু হয়।