মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেয়েও অনেক প্রার্থী পুলিশ ভেরিফিকেশনের ভি রোল ফরম পাঠাতে পারেননি।
আগামী ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের ভি রোল ফরম পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে এনটিআরসিএ।
সোমবার বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে।
এ বিষয়ে এনটিআরসিএ সচিব মো. ওবায়েদুর রহমান বলেন, ‘৩য় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন চলছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ২৯৫ প্রার্থী এখনও পুলিশ ভেরিফিকেশনের ভি রোল ফরম পাঠায়নি। তাদেরকে আগামী ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে ফরম পাঠানোর সুযোগ দেয়া হয়েছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩য় গণবিজ্ঞপ্তির আওতায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের পুলিশ-সিকিউরিটি ভেরিফিকেশনের জন্য পুলিশ প্রত্যয়ন ফরম (ভি-রোল) পূরণের জন্য সময় ছিল গত ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু উল্লিখিত সময়ের মধ্যে ৫ হাজার ২৯৫ জন প্রার্থীর ভি-রোল ফরম এনটিআরসিএ কার্যালয়ে আসেনি। যেসব প্রার্থীর ভি-রোল ফরম পাওয়া যায়নি তাদের তালিকা এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে (www.ntrca.gov.bd) প্রকাশ করা হয়েছে।
তারা এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে পুলিশ-সিকিউরিটি ভেরিফিকেশন বক্স থেকে ভি-রোল ফরম ডাউনলোড করে ফরমের চার কপি যথাযথ পূরণ করে উপরে রোল, ব্যাচ এবং খামের উপরে বড় অক্ষরে প্রার্থীর নিজ জেলার নাম, নিবন্ধন পরীক্ষার রোল, ব্যাচ এবং মোবাইল নম্বর উল্লেখ করে ডাকযোগে এনটিআরসিএর কার্যালয়ে আগামী ২৬ ডিসেম্বর মধ্যে পাঠাতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যেসব প্রার্থীর ভি রোল ফরম পাওয়া যায়নি তাদেরকে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের এসএমএসের মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হবে। ২৬ ডিসেম্বরের পরে আর কোন ভি-রোল ফরম গ্রহণ করা হবে না। প্রার্থীদেরকে তাদের শিক্ষক নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত স্থায়ী ঠিকানাই ডি-রোল ফরমের স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ফল গত ১৫ জুলাই রাতে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে এনটিআরসিএ।
তবে ৫১ হাজার ৭৬১টি পদে সুপারিশ করার কথা থাকলেও সুপারিশ করা হয়েছে ৩৮ হাজার ২৮৬ জন প্রার্থীকে। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৩৪ হাজার ৬১০ জনকে এবং ননএমপিভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার ৬৭৬ জনকে সুপারিশ করা হয়েছে।
এর আগে ১৫ জুলাই এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়োগ নিয়ে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি জানান, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজার শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দিতে আবেদনপ্রক্রিয়া শেষ করা হলেও আদালতে মামলার কারণে আবেদনকারীদের ফলাফল এত দিন প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।
শিক্ষক নিবন্ধনের ১ থেকে ১২তম পর্যন্ত পাস করেও চাকরি না পাওয়া ২ হাজার ৫০০ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে এনটিআরসিএকে সুপারিশ করে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। সে রায় ২৮ জুন বাতিল করে দেয় আপিল বিভাগ।
চলতি বছরের ৩০ মার্চ তৃতীয় ধাপে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫৪ হাজার ৩০৪ শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ।
গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্যপদের মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ১০১টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত পদ ২৬ হাজার ৮৩৮টি। মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে মোট শূন্যপদ ২০ হাজার ৯৯৬টি। এর মধ্যে ১৯ হাজার ১৫৪টি এমপিওভুক্ত। আর ২ হাজার ২০৭টি এমপিও পদে রিট মামলায় অংশগ্রহণদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়।