বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপি নেতাদের কথার নিয়ন্ত্রণ নেই: কাদের

  •    
  • ৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৭:৩২

সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি নামক দলটি রাজনীতির মাঠে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। তারা বিভিন্ন অপকৌশলে আমাদের দল ও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। খালদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে তারা তাদের মনগড়া বক্তব্য দিচ্ছেন।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে দলটি রাজনীতির মাঠে উত্তাপ ছড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, দলটির নেতারা তাদের কথার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছেন না।

বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ সফল করতে সোমবার এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি নামক দলটি রাজনীতির মাঠে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। তারা বিভিন্ন অপকৌশলে আমাদের দল ও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। খালদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে তারা তাদের মনগড়া বক্তব্য দিচ্ছেন।’

খালেদা জিয়ার কিছু হলে এর দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নয়, এর দায়-দায়িত্ব বিএনপিকে নিতে হবে। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য কেন্দ্র করে বিএনপির নেতারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার দিবা স্বপ্ন দেখছেন। বিএনপি নেতাদের স্বপ্ন একদিন দুঃস্বপ্ন হবে। বিএনপি নেতারা কখন যে কী বলছেন, তার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছেন না। এমনকি বিএনপির মহাসচিবও এখন আবোল-তাবোল বকছেন।’

খালেদা জিয়া না থাকলে নাকি আওয়ামী লীগও থাকবে না, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আসলে বলতে চেয়েছিলেন খালেদা জিয়া না থাকলে বিএনপি থাকবে না, কিন্তু তার স্লিপ অফ টাং হয়ে আওয়ামী লীগের কথা বলে ফেলেছেন। তার মনের কথা ছিল বিএনপি, কিন্তু মুখ থেকে ফসকে আওয়ামী লীগের কথা বের হয়ে গেছে।

‘খালেদা জিয়া না থাকলে আওয়ামী লীগ কেন থাকবে না, এটা একটি হাস্যকর কথা। খালেদা জিয়া না থাকলে বিএনপি থাকা না থাকার প্রশ্ন আছে। আসলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হতাশায় ভুগছেন। আওয়ামী লীগ এ দেশের মাটি ও মানুষের দল। এ দলের শিকড় এ দেশের মাটির অনেক গভীরে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির গণতন্ত্র হলো কারফিউ গণতন্ত্র। তাদের বহুদলীয় গণতন্ত্র বহুদলীয় তামাশা। ভোটারবিহীন গণতন্ত্র বিএনপির বাকরুদ্ধ গণতন্ত্র। বিএনপির বর্ণচোরা ও মুখোশ পরা গণতন্ত্রের দিকে বাংলাদেশ আর ফিরে যাবে না। বিএনপি এখন পথভ্রষ্ট বিশ্বাস হারানো এক রাজনৈতিক দল। বিএনপির স্বাধীনতা মানে বিচারের রায়ে তাদের পক্ষে যাওয়া।

‘বিএনপির নেত্রীকে পয়জনিং দিলে বিএনপির নেতারা দিয়েছেন, যারা তার কাছাকাছি থাকেন। আওয়ামী লীগ তার কাছে থাকে না।’

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ সফলভাবে পালনের লক্ষ্যে ওবায়দুল কাদের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একযোগে সারা জাতিকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর সকালে সাভার ও বঙ্গবন্ধু ভবনে আওয়ামী লীগসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মী শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। ১৭ ডিসেম্বর সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে দেশি-বিদেশি অতিথিদের নিয়ে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। ১৮ ডিসেম্বর বেলা ২টা ৩০ মিনিটে শিখা চিরান্তন থেকে বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য বিজয় শোভাযাত্রা করবে আওয়ামী লীগ।’

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতারাসহ ঢাকার প্রতিটি ওয়ার্ড কাউন্সিলররা।

এ বিভাগের আরো খবর