বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অর্থপাচার: ৪৩ জনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ কী, প্রশ্ন হাইকোর্টের

  •    
  • ৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৪:৪৩

কর ফাঁকি দিয়ে নামে-বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়া, আইন অমান্য করে দেশের টাকা বিদেশে পাচার ও অবৈধ আয়ে বৈধ ক্ষমতার মালিক হওয়া নিয়ে ২০১৬ সালের এপ্রিলে পানামা পেপারস নামে দুর্নীতির সংবাদ আসে বিশ্ব গণমাধ্যমে। ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর প্রকাশ হয় একই ধরনের আরেকটি তালিকা, যা পরিচিতি পায় প্যারাডাইস পেপারস নামে। এই দুই পেপারসেই বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে এসেছে।

প্যারাডাইস ও পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে নাম আসা বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত সংস্থা বিএফআইইউ ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা সিআইডি কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানতে চায় উচ্চ আদালত। আগামী ৯ জানুয়ারি প্রতিবেদন আকারে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেয়।

৪৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকা দাখিলের পর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এ আদেশ দেয়। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম। দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

কর ফাঁকি দিয়ে নামে-বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়া, আইন অমান্য করে দেশের টাকা বিদেশে পাচার ও অবৈধ আয়ে বৈধ ক্ষমতার মালিক হওয়া নিয়ে ২০১৬ সালের এপ্রিলে পানামা পেপারস নামে দুর্নীতির সংবাদ আসে বিশ্ব গণমাধ্যমে।

বিশ্বের সাবেক ও বর্তমান শতাধিক রাষ্ট্রনায়ক ও রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, খেলোয়াড়, অভিনেতা, শিল্পী অনেকের নাম ছিল এ তালিকায়।

২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর প্রকাশ হয় একই ধরনের আরেকটি তালিকা, যা পরিচিতি পায় প্যারাডাইস পেপারস নামে। এখনও এই পেপারে থাকা নানা নাম প্রকাশ হচ্ছে।

এই দুই পেপারসেই বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে এসেছে।

তালিকায় থাকা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো হলো

মাল্টিমোড লিমিটেডের আবদুল আউয়াল মিন্টু ও তার স্ত্রী নাসরিন ফাতেমা আউয়াল এবং তাদের সন্তান তাবিথ আউয়াল, তাফসির আউয়াল ও তাজওয়ার মো. আউয়াল, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী মোগল ফরিদা ওয়াই ও শহিদ উল্লাহ, ঢাকার বনানীর চৌধুরী ফয়সাল, বারিধারার আহমাদ সামির, ব্রামার অ্যান্ড পার্টনার্স অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেড, ভেনাস ওভারসিজ কোং-এর মুসা বিন শমসের।

আরও আছেন ডায়নামিক এনার্জির ফজলে এলাহী, ইন্ট্রিপিড গ্রুপের কে এইচ আসাদুল ইসলাম, খালেদা শিপিং কোম্পানির জুলফিকার আহমেদ, নারায়ণগঞ্জের জেমিকো ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের তাজুল ইসলাম তাজুল, চট্টগ্রামের বেঙ্গল শিপিং লাইনসের মোহাম্মদ মালেক, ঢাকার সাউদার্ন আইস শিপিং কোম্পানির শাহনাজ হুদা রাজ্জাক, ওসান আইস শিপিং কোম্পানির ইমরান রহমান, শামস শিপিং লিমিটেডের মোহাম্মদ এ আউয়াল।

অর্থ পাচারের তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আছে ঢাকার উত্তরার এরিক জনসন আনড্রেস উইলসন, ইন্ট্রিপিড গ্রুপের ফারহান ইয়াকুবুর রহমান, জেমিকো ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের তাজুল ইসলাম, পদ্মা টেক্সটাইলের আমানুল্লাহ চাগলা, রাশিয়ার নিউটেকনোলজি ইনভেস্টমেন্টের মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান, মাল্টার মোহাম্মদ রেজাউল হক, নারায়ণগঞ্জের জেমিকো ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মোহাম্মদ কামাল ভূঁইয়া, তুহিন-সুমন, সেলকন শিপিং কোম্পানির মাহতাবা রহমান, নারায়ণগঞ্জের জেমিকো ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের ফারুক পালওয়ান ও আয়ারল্যান্ডের গ্লোবাল এডুকেশন সিস্টেমের মাহমুদ হোসাইনের নাম।

এ ছাড়া আছে বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেডের চেয়ারম্যান ফয়সাল আহমেদ চৌধুরী, সেতু করপোরেশনের চেয়ারম্যান উম্মে রুবানা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, ঢাকার আজমত মঈন, সালমা হক, এস এম জোবায়দুল হক, ড. সৈয়দ সিরাজুল হক, শরীফ জহির, তারিক ইকরামুল হক, ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ রাজা, প্রতিষ্ঠানটির তিন পরিচালক খন্দকার মঈনুল আহসান শামীম, আহমেদ ইসমাইল হোসেন এবং আখতার মাহমুদের নাম।

এ বিভাগের আরো খবর