নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে একটি বাসায় এবার গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে লাগা আগুনে দুই শিশুসহ এক পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছে।
তাদের রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলার ধুপতারা ইউনিয়নের কুমারপাড়া গ্রামের একটি বাসায় সোমবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন মো. সোলাইমান, তার স্ত্রী রীমা আক্তার, তাদের দুই সন্তান মাহিত ও আরোজ।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক এস এম আইউব হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, সোলাইমানের শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। এ ছাড়া রিমার ১৫ শতাংশ, মাহিতের ১৬ শতাংশ ও আরোজের শরীরের ৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
তাদের মধ্যে ৩ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। শিশু আরোজকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, দগ্ধদের মধ্যে সোলায়মানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ জন্য তাকে (হাই ডিফেন্স ইউনিট) এইচডিইউতে রেফার্ড করা হবে।
সোলাইমানের শ্যালক মানসুর আহমেদ নিউজবাংলাকে জানান, ফজরের নামাজ পড়তে অজু করার জন্য গরম পানি করতে গিয়েছিলেন সোলাইমান। ওই সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ঘরে আগুন ধরে যায়।
মানসুর বলেন, মনে হয় সিলিন্ডারের পাইপ লিকেজ ছিল। তাই রুমে গ্যাস জমে ছিল।
এই ঘটনার এক দিন আগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি ছয়তলা ভবনে সিলিন্ডার থেকে বের হওয়া গ্যাস বিস্ফোরণের পর আগুন লেগে চারজন দগ্ধ হন।
ফতুল্লার বিলাসনগর এলাকায় শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন মিলন হোসেন, ওসমান গণি, সাহেদ মিয়া ও চায়না বেগম। তারা সবাই পোশাক কারখানার শ্রমিক।
স্থানীয় লোকজন জানান, বুলবুল মিয়ার ছয়তলা ভবনের পঞ্চম তলায় বিকট শব্দে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এরপর ফ্ল্যাটে আগুন লেগে যায়। এতে ওই ফ্ল্যাটের মিলন দগ্ধ হন। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে পাশের ফ্ল্যাটের আরও তিনজন দগ্ধ হয়েছেন।
ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুজ্জামান জানান, স্থানীয়রা দগ্ধ চারজনকে রাজধানীর জাতীয় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠিয়েছেন। তাদের মধ্যে মিলনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।