বাংলাদেশ ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সোমবার মৈত্রী দিবস পালন করছে ঢাকা ও দিল্লি।
১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক সেতুবন্ধন তৈরি হয়েছিল প্রতিবেশী দুই দেশের।
দিনটিকে স্মরণ করতে গিয়ে টুইট করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এতে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখার ইচ্ছা পোষণ করেন।
টুইটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ ভারত ও বাংলাদেশ মৈত্রী দিবস পালন করছে। আমরা যৌথভাবে ৫০ বছরের বন্ধুত্বের ভিত্তিকে স্মরণ ও উদ্যাপন করছি। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণ ও গভীর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখতে উন্মুখ হয়ে আছি।’
ঢাকা ও দিল্লি ছাড়াও বিশ্বের ১৮টি দেশে মৈত্রী দিবস পালন হচ্ছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পাশে ছিল ভারত। প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারকে সাহায্য সহযোগিতা ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ, রসদ, কোটি শরনার্থীকে আশ্রয় দেয়া এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত গঠনে সহযোগিতা করে। মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার পর সশরীরে যুদ্ধে অংশও নেয়। গঠন হয় বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বাহিনী।
এই বাহিনীর হাতেই ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করলে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়।