ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ থেকে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে চট্টগ্রামেও সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন জরুরি কাজে বাইরে বের হওয়া সাধারণ মানুষ। সকাল থেকে এমন বৃষ্টিতে মহানগরীর নিচু এলাকার কোথাও কোথাও হালকা জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার নগরীর অক্সিজেন, মুরাদপুর, ২ নম্বর গেট, বহদ্দারহাট, কাজির দেউড়ি ও মেহেদীবাগ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, চান্দগাঁও আবাসিক, সিডিএ আবাসিকসহ নিচু এলাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে সড়কে কমে গেছে বাসের সংখ্যা। সিএনজি অটোরিকশাতে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে শিক্ষার্থী ও অফিসগামী যাত্রীদের।
নগরীর অক্সিজেন এলাকায় আরিফ রায়হান নামের এক শিক্ষার্থী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভার্সিটি যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলাম। বৃষ্টিতে গাড়িও কম। সিএনজির ভাড়াও বাড়িয়ে ফেলছে। এখন কীভাবে যাওয়া যায় চিন্তা করছি।’
নগরীর এভারকেয়ার হাসপাতালে মাকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাচ্ছিলেন আব্দুর রহিম। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি ফতেয়াবাদ থেকে এসেছি মাকে নিয়ে। আগে থেকে ডাক্তারের সিরিয়াল নিয়ে রাখায় আজই আসতে হয়েছে। অনেক মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে, বাস কম। সিএনজি অটোরিকশাকে ১০০ টাকা বেশি ভাড়া দিয়ে যাচ্ছি এখন।’
চট্টগ্রামে আগামীকালও থেমে থেমে বৃষ্টি থাকতে পারে বলি জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
নিউজবাংলাকে নগরীর পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে মোটামুটি সারা দেশে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে আগামীকালও চট্টগ্রামে এই বৃষ্টিপাত থাকতে পারে।’
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।