নভেম্বর মাসের ভ্যাটের লটারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম বিজয়ীর কুপন নম্বর হলো ০০৩৪২১ ওআইএফজিএক্সপিইউ ১৮৯। এই বিজয়ী পাবেন এক লাখ টাকা।
দ্বিতীয় পুরস্কার বিজয়ীর কুপন নম্বর হলো ০০২৪২১আইডিকেসিডিকেসি ২৫০। এ ক্ষেত্রে বিজয়ী ব্যক্তি পাবেন ৫০ হাজার টাকা।
রোববার গত অক্টোবর মাসজুড়ে ইলেকট্রনিক ফিসকেল ডিভাইস (ইএফডি) বা ভ্যাটের মেশিনের মাধ্যমে বেচাকেনার রসিদের ওপর লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এটি ছিল ১১তম ড্র।
লটারি বিজয়ীর নাম ঘোষণা উপলক্ষে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলনকক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। গত জানুয়ারি মাস থেকে প্রথমবারের মতো প্রতি মাসে ১০১ ভ্যাটদাতাকে এই ধরনের পুরস্কার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, লটারিতে গ্রাহকদের কাছ থেকে খুব বেশি সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। গ্রাহকদের সুবিধার জন্য পণ্যমূল্যে ভ্যাট যুক্ত থাকবে। এটি গ্রাহককে স্বস্তি দেবে।
প্রথম বিজয়ী ১ লাখ টাকা, দ্বিতীয় বিজয়ী ৫০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় বিজয়ী ৫ জন পাবেন ২৫ হাজার টাকা করে। বাকি ৯৪ জনের পুরস্কারের পরিমাণ ১০ হাজার টাকা। ইএফডি মেশিনের মাধ্যমে বেচাকেনাকে উৎসাহিত করতে এনবিআর ভ্যাট বিভাগ লটারির আয়োজন করেছে।
বিজয়ীদের চলতি মাসের শেষ কার্যদিবসের মধ্যে পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে হবে। এরপর কুপন নম্বর মিলিয়ে দেখাসহ যাবতীয় যাচাই–বাছাই করা হবে। আবেদনপত্রে আবেদনকারীর নাম, সই, ঠিকানা, মুঠোফোন নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), চালান নম্বর, ইস্যুর তারিখ থাকতে হবে।
লটারি ড্র কমিটি ওয়েব বেসড সফটওয়্যার এ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে লটারির ব্যবস্থা করে। লটারিতে এক লাখ টাকা থেকে দশ হাজার পর্যন্ত মোট ১০১ টি পুরস্কার রয়েছে ।
লটারির ড্র এর ফলাফল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট (www.nbr.gov.bd) ও পরবর্তী তিন কার্যদিবসের মধ্যে দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়।
ক্রেতাদের ভ্যাট প্রদানে উৎসাহিত করতে এই লটারির আয়োজন করা হয় । প্রতি মাসের ৫ তারিখ বা ৫ তারিখ সরকারি ছুটির দিনে সম্ভব না হলে পরবর্তী কর্মদিবসে লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়।