বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অভিমানে ছাত্রের ‘আত্মহত্যা’, কলহে গৃহবধূর

  •    
  • ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ২১:৩৬

পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাত ও রোববার সকালে তাদের মৃত্যু হয়। তারা আত্মহত্যা করেছেন বলে পরিবারের স্বজনরা জানিয়েছেন।

রাজধানীর সবুজবাগ ও আদাবর এলাকায় এক শিক্ষার্থী ও এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে; যারা আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

শনিবার রাত ও রোববার সকালে তাদের মৃত্যু হয়। মারা যাওয়া দুজন হলেন ১৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থী শাহরিয়ার ও ২০ বছর বয়সী গৃহবধূ মোছা. সুমি আক্তার।

সবুজবাগ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) বিমল চন্দ্র পাইন বলেন, ’আমরা খবর পেয়ে মুগদা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের স্ট্রেচারের ওপর থেকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে শাহরিয়ারের মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তা ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।'

তিনি বলেন, ‘নিহত শিক্ষার্থীর স্বজনদের কাছ থেকে জানতে পারি, সে মুগদা রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। প্রি টেস্ট পরীক্ষার কিছু সাবজেক্ট খারাপ হয় বলে সে আত্মহত্যা করেছে।’

নিহতের চাচা আজিজুল ইসলাম বলেন, ’নিজ বাসার স্টোররুমে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয় শাহরিয়ার। পরে দরজায় গিয়ে ডাকাডাকি করলে দরজা খোলেনি সে। দরজা ভেঙে ভেতরে গিয়ে দেখি ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে রয়েছে শাহরিয়ার। দ্রুত মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’নিহত শাহরিয়ারের বাসা সবুজবাগের দক্ষিণ মাদারটেক কবরস্থানের পাশে, ১২৭ নম্বর বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তার বাবা মোহাম্মদ শিমুল। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়।

এদিকে রোববার সকাল ৬টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে গৃহবধূ সুমি আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

আদাবর থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল বাশার বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে সকাল ৬টার দিকে সুমির মরদেহ উদ্ধার করি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

তিনি জানান, স্বামী-স্ত্রীর কলহের জের ধরে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন সুমি। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিয়ে এলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিহতের বড় ভাই আব্দুল মালেক বলেন, ‘আরমান বাসারের সঙ্গে আমার বোনের প্রায় পাঁচ মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর কলহ লেগে থাকত। সুমি অতিরিক্ত রাগী ছিল। কথায় কথায় রেগে যেত।’

তিনি বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার স্বামী বাসায় থাকা অবস্থায় বেলা দেড়টার দিকে তার নিজ কক্ষে গিয়ে দরজা বন্ধ করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয় সে। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এলে রোববার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।’

নিহত সুমি নোয়াখালী সদরের মহত্তাপুর গ্রামের মৃত নূর নবী মাস্টারের মেয়ে। আদাবরের বাইতুল আমান হাউজিংয়ে একটি বাসায় স্বামী আরমান বাসারের সঙ্গে থাকতেন তিনি। তারা চার ভাই-চার বোন।

এ বিভাগের আরো খবর