বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হেলিকপ্টারে ছেলের বউ আনলেন কৃষক মহির

  •    
  • ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ২০:৩৪

মহিউদ্দিন জানান, গৃহস্থ কৃষক হলেও শখ পূরণ করা এত সহজ ছিল না। ২ ঘণ্টা ২০ মিনিটের জন্য হেলিকপ্টার ভাড়া লেগেছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এ টাকা জোগাড় করেছেন কোরবানি ঈদে গরু আর গত মৌসুমে ধান বিক্রি করে। এ ছাড়া বিয়ের আনুষঙ্গিক খরচও কম নয়।

ছেলের জন্মের পর থেকেই বাবা মহিউদ্দিনের ইচ্ছা ছিল হেলিকপ্টারে করে বউ আনবেন। প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনকে বললে তারা অবশ্য বিশ্বাস করেননি।

কারণ মহিউদ্দিন পেশায় কৃষক। হেলিকপ্টার ভাড়া করে ছেলের বউ আনা যে অনেক খরচের ব্যাপার। তবে সব জল্পনাকে মিথ্যা প্রমাণ করে ছেলে রাসেল মিয়ার বউকে হেলিকপ্টারেই এনেছেন মহিউদ্দিন।

ঘটনাটি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পোড়াবাড়ী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল বাউসাইদ গ্রামের। রোববার বিকেলে বাউসাইদ গ্রামে নববধূ নামেন হেলিকপ্টার থেকে।

এ নিয়ে সারা দিনই বিয়েবাড়িসহ আশপাশের গ্রামজুড়ে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। ছিল বাদ্যের ঝংকার, হরেক রকম খাবারের আয়োজন।

বর রাসেলের স্বজনরা জানান, কৃষক মহিউদ্দিনের একমাত্র ছেলে রাসেলের সঙ্গে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বাটাজোর গ্রামের মিতু আক্তারের কাবিন হয় আড়াই মাস আগে। ওই সময়ই মহিউদ্দিন তার শখের কথা জানিয়ে এসেছিলেন।

মহিউদ্দিন জানান, গৃহস্থ কৃষক হলেও শখ পূরণ করা এত সহজ ছিল না। ২ ঘণ্টা ২০ মিনিটের জন্য হেলিকপ্টার ভাড়া লেগেছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এ টাকা জোগাড় করেছেন কোরবানি ঈদে গরু আর গত মৌসুমে ধান বিক্রি করে। এ ছাড়া বিয়ের আনুষঙ্গিক খরচও কম নয়।

স্থানীয়রা জানায়, রোববার দুপুরে মহিউদ্দিনের বাড়ির পাশে কৃষিজমিতে নামে হেলিকপ্টার। পরে বর নিয়ে বাটাজোরে কনের বাড়িতে যায়। সেখান থেকে ফেরে বিকেলে।

প্রত্যন্ত গ্রামে হেলিকপ্টারে বিয়েকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল বর ও কনের বাড়ির এলাকায়। ভিড় সামলাতে উপস্থিত ছিল স্থানীয় পুলিশ।

বাউসাইদ গ্রামের ৮০ বছরের জিন্নত আলী জানান, তার এত বছরের জীবনে এমন বিয়ে দেখেননি। হেলিকপ্টারে বউ আনা এটাই প্রথম দেখলেন।

কনে মিতু আক্তার বলেন, ‘আমি কখনও কল্পনাও করিনি আমার বর আমাকে হেলিকপ্টারে করে তার বাড়ি নিয়ে আসবে। এতে আমি খুবই খুশি।’

বর রাসেল মিয়া বলেন, ‘বাবার ইচ্ছা পূরণ করতেই হেলিকপ্টারটি ভাড়া করে আনা হয়। টাঙ্গাইল থেকে রওনা দিয়ে ময়মনসিংহের বাটাজোর থেকে নববধূকে নিয়ে ফিরে এসেছি।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য মুসা দেওয়ান বলেন, ‘হেলিকপ্টারে চড়ে এই বিয়েকে কেন্দ্র করে আমাদের গ্রামে সকাল থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল। বড় বড় অনুষ্ঠানেও এত লোকজন আসে না।’

রাসেলের বাবা মহিউদ্দিন বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল ছেলেকে বিয়ে করাব ধুমধামে। ছেলের বউ আনব হেলিকপ্টারে করে। আজ আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আমি আজ খুবই খুশি।’

নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা টাঙ্গাইল সদর থানার উপপুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান মুন্সি জানান, বরপক্ষ নিরাপত্তার জন্য এক সপ্তাহ আগে আবেদন করেন। সেই অনুযায়ী নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর